কোথাও মিড ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন। কোথাও আবার ব্যবস্থাপনা নিয়ে। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল হুগলির বাঁশবেড়িয়ার একটি প্রাথমিক স্কুলে। স্থানীয় পৌরসভার সৌজন্যেই এই স্কুলের মিডে ডে মিলের ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে।
স্কুলের যেখানে, সেখানে নয়। এবার থেকে ডাইনিং হলে খাওয়া দাওয়া করবে হুগলির খামারপাড়া জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তি সংঘ নিন্ম বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবারই এই বিদ্যালয়ে নতুন ডাইনিং হলের উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে দেড়শো ছাত্রছাত্রী দাঁড়িয়ে খেতে পারবে। শুধু তাই নয়, খাওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের অ্য়াপ্রনও পরতে হচ্ছে।
খামারপাড়ার এই প্রাথমিক স্কুলটিতে সবমিলিয়ে ৩৩০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন মোট এগারোজন। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অরিজিতা শীল জানান, 'ওই বিদ্যালয়ের ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়ে সেই জায়গায় এই ডাইনিং হল তৈরি করে দিয়েছি । সরকারী অর্থেই এই ভবনটি গড়ে উঠেছে। ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের সুষম খাদ্য দেওয়ার পাশাপাশি খাবারের জায়গাটিও স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। এটা আমাদের সরকার মনে করে, তাই তার জন্য একটি প্রকল্প ও তৈরি হয়েছে।' কিছু দিন আগে এই হুগলি জেলারই একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নুন ভাত খেতে দেওয়া নিয়ে গোটা রাজ্যে হইচই পড়ে গিয়েছিল। মিড ডে মিলের মান নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল শিক্ষা দফতর।'
খামারপাড়ার এই স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ ঘোষালের দাবি, তাঁদের স্কুলে মিড ডে মিলে মাছ,মাংস, ডিম সবই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্না করা হয়। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের পাতে পোস্ত দিয়ে রান্না করা পদও দেওয়া হয়।