শ্রমিকদের জন্য সুখবর, ইএসআই হাসপাতাল চালু হবে মুর্শিদাবাদে

মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য তারাপুরে কেন্দ্রীয় হাসপাতালটিকে ইএসআইয়ের আওতায় আনার জন্য বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিল রাজ্য সরকার। সেইমতো  রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না শুক্রবার কেন্দ্রের ইএসআই আধিকারিকদের সঙ্গে ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে এসে দীর্ঘ বৈঠক করেন।

Asianet News Bangla | Published : Sep 3, 2021 3:42 PM IST

অবশেষে মিলল কেন্দ্রের সবুজ সংকেত। মুর্শিদাবাদের লক্ষাধিক শ্রমিকের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে এবার। 'ইন্টার ডেভলপমেন্ট' পরিষেবা যুক্ত অত্যাধুনিক ইএসআই হাসপাতাল চালু করা হবে সেখানে। আজ ওই এলাকা পরিদর্শনে এসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি দলের তরফে একথা জানানো হয়েছে। 

মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য তারাপুরে কেন্দ্রীয় হাসপাতালটিকে ইএসআইয়ের আওতায় আনার জন্য বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিল রাজ্য সরকার। সেইমতো  রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না শুক্রবার কেন্দ্রের ইএসআই আধিকারিকদের সঙ্গে ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে এসে দীর্ঘ বৈঠক করেন। তারাপুর কেন্দ্রীয় হাসপাতালটিকে কেন ইএসআইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত সেকথাও বৈঠকে জানিয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- 'বিশ্বভারতীর মর্যাদাহানির জন্য দায়ী মমতার সরকার', ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতেও বিস্ফোরক দিলীপ

মূলত জেলার সূতি, ধূলিয়ান, ফরাক্কা, ওরঙ্গাবাদ এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ বিড়ি শ্রমিক। এই সব দুঃস্থ বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য তারাপুরে ওই হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি। ফলে, স্থানীয় শ্রমিকরা চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন। এমনকী, দিন কয়েক ফরাক্কা ও সূতিতে বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন শ্রমমন্ত্রী। ওই কেন্দ্রীয় হাসপাতালের বেহাল চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রকাশ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

আরও পড়ুন- সোমবার থেকে বাড়ছে কলকাতা মেট্রোর রেকের সংখ্যা, বাড়ানো হচ্ছে শেষ মেট্রোর সময়সীমাও

আরও পড়ুন- টেট মামলায় পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা, মামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

স্থানীয় বিড়ি শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এই হাসপাতালে ঠিকমতো পরিষেবা পেলে খুব ভালো হবে। দীর্ঘদিনের দাবি মিটবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেছেন, "আমি নিজেও তারাপুরে গিয়ে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে এসেছি। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনছি আজকে। এখানে এখন জ্বর, কাশি সহ ছোটখাট সমস্যা ছাড়া অন্য রোগের চিকিৎসা হয় না। সেই জন্য হাসপাতালটি ভালোভাবে চালু করার জন্য শ্রমিকরা আমার কাছে আর্জি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে সেকথাই তুলে ধরেছি।" অবশেষে ওই হাসপাতালকে ইএসআইয়ের আওতায় নিয়ে আসার সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে।

Share this article
click me!