দুর্গাপূজোর সময় চার বছরের ছোট্ট ফতিমা-কে কুমারী রূপে পূজা করা হয়েছিল। এবার তার পরিবার দাবি করল, সিএএ-এনআরসি'তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশের মহিলারাই। এই দাবি নিয়েই এই দুই বিতর্কিত বিষয়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল তারা।
ফতিমা-রা লখনউ-তে থাকলেও তাঁর মামার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের কামারহাটিতে। ফতিমার মামা, মহম্মদ আহমেদ বুধবার সুপ্রিমকোর্টে এই বিষয়ে একটি মামলা করেছেন। তিনি বলেন, 'সিএএ, এনআরসি,এনপিআর ভারতীয় সমাজে ভেদাভেদ সৃষ্টি করবে। আমরা প্রত্য়েকেই এই দেশের নাগরিক। কিকরে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গরীবরা তাঁদের উৎসের প্রমাণ দেবেন?
তাঁর মতে সবচেয়ে বিপদে পড়বেন মহিলারা। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় এবং বিভিন্নরকম বৈষম্যের শিকার হন। ভারতে এমন পরিবার কমই রয়েছে, যাঁরা বাড়ির মেয়েদের নামে সম্পত্তি বা ব্যবসা নথিভুক্ত করেন। তাই বৈধ নথি দেখিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা তাঁদের পক্ষে খুবই কঠিন হবে বলে দাবি তাঁর।
বুধবার মহম্মদ আহমেদ-এর এই আবেদনটি সহ সিএএ বিরোধিতা করে মোট ১৪০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। তবে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য না সুনে এই বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আহমেদ-এর আবেদনও শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাংবিধানিক বেঞ্চে এই সবকটি মামলার শুনানি হবে।