অবশেষে দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার অবসান। ৪৫ দিন পর ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্য়ে ফিরলেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার ৩৪৭জন পরিযায়ী শ্রমিক। তবে পুরুলিয়াকে গ্রিনজোন রাখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ইন্সটিটিউটে কোয়ারান্টাইনের ব্য়বস্থা সুনিশ্চিত করার দাবি তুললেন বাগমুন্ডির বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রাজ্য় সরকারকে এ বিষয়ে অবলম্বে হস্তক্ষেপ করতে বললেন তিনি।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষ করে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার বহু শ্রমিক ঝাড়খণ্ডে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। হঠাৎ লকডাউনে আটকে পড়ে সমস্যা বাড়ে তাদের। পরিবহনের সুয়োগ অর্থাভাবে ঝাড়খণ্ড থেকে পায়ে হেঁটে রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করেনব তারা। পরে বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে পুরুলিয়ায় ঢুকলে পুলিশ তাদের আবার ফিরিয়ে দেয় | অন্যদিকে আবার ঝাড়খণ্ডে এলে ঝাড়খন্ড পুলিশেও তাদের রাজ্য়ে নিতে বাধা দেয় | অবশেষে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় ঝাড়খণ্ড সরকার তাদের ঝাড়খণ্ডের মুরি স্টেশন এর পাশের এক স্কুলে কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। যেখানে পুরুষ মহিলা ও বাচ্চা মিলিয়ে ১৮৩ জনকে রাখা হয়েছিল। পরে দুই রাজ্যের সম্মতিতে তাদের নিজের রাজ্যে বা জেলায় নিয়ে আসার ব্য়বস্থা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
এদিকে এতদিন পর বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি রাজ্যের শ্রমিকরা। পুরুলিয়া জেলার দুই পরিযায়ী শ্রমিক ধনঞ্জয় গোঁরাই ও আশারাম বাগতি বলেন, আমরা কোটশিলা থানা এলাকার।কিছুদিন আগে আমরা ঝালদা ঢুকতেই ঝালদা থানার পুলিশ আবার ঝাড়খণ্ডে ফিরিয়ে দেয়। ফলে আমরা ঝাড়খণ্ডেই আটকে যাই। ঝাড়খণ্ড সরকার আমাদের জন্য থাকার খুব ভালো ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের কোনও অসুবিধা হয়নি। তাই ঝাড়খণ্ড সরকারকে ধন্যবাদ।
আমাদের রাজ্য সরকার যেন আমাদের ভালোভাবে পৌঁছে দেয় এটাই আশা করি | এ বিষয়ে বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, দেরিতে হলেও রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাবস্থা করছে। এটা আরও আগে দরকার ছিল। দেখেছি অনেকে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল রাজ্যে আসার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছে। তাদের রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। লকডাউনের জন্য | তাদের ঝাড়খণ্ড সরকার কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করেছে। আজ তারা বাড়ি ফিরছে। ধীরে ধীরে আরও আটকে থাকা শ্রমিক বাড়ি ফিরবে। তাদের যেন আর অযথা হয়রানি না করা হয়। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের বাড়িতেই কোয়রান্টাইনের ব্য়বস্থা যেন করে সরকার |প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করে, তারা এরপর বাড়ি ফিরবে।