শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ অনিশ্চয়তা কাটিয়ে প্রথম দফায় একটি বিশেষ ট্রেনে করে কেরলের আলুয়া থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে পৌঁছল পরিযায়ী শ্রমিকরা। বুধবার রাতেই সেখান থেকে এক এক করে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পরে জেলার কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিককে বাসে করে পাঠানো হল জেলার রানিনগর,ডোমকল, হরিহরপাড়া ,ইসলামপুর, সাগরদিঘি, লালগোলা সহ একাধিক এলাকায়।
এদিন সকলকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস।ওই ট্রেনটি খড়গপুর আসানসোল , বর্ধমান ভায়া ব্যাণ্ডেল , কাঁচরাপাড়া হয়ে এদিন বহরমপুর পৌঁছয়। তবে যাত্রা পথে ট্রেনটি কোথাও থামেনি বলে রেল দপ্তর সূত্রে দাবি করা হয়েছে ।এদিকে বহরমপুর স্টেশনে শ্রমিকরা যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে নামতে পারেন তার সমস্ত ব্যবস্থা আগে ভাগেই নেওয়া হয়েছে ।
একদিন আগে থেকে ওই স্টেশনের ধারে কাছে ভিড়তে দেওয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে ।পুরো স্টেশন নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় । জীবাণুনাশক স্প্রে , স্যানিটাইজার দিয়ে মোছা হয়েছে স্টেশান চত্বর ।এই ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার কে. শবরী রাজকুমার বলেন , “শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়নি যাতে বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের কাছ থেকে কোনও ভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে”।
এদিকে আতঙ্কের দিন গোনা শেষ হওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকের আত্মীয় স্বজন কেউ বেশ উৎফুল্ল দেখা গিয়েছে । এই ব্যপারে জলঙ্গীর বাসিন্দা আতারুল শেখ ,ইসলামপুরের আনোয়ার আলি বলেন ,” লক ডাউনে ছেলেরা আটকে ছিল ,ওদের চিন্তায় রাতের পর রাত ঘুম হয়নি ।এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে কার না ভাল লাগবে বলুন"। এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে পৌঁছে দেওয়ার আগে গভীর রাত পর্যন্ত উপস্থিত থাকেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক হোসেন,জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মধু।