মুর্শিদাবাদ জুড়ে যেন অজানা অশনি সংকেত! মুম্বই ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে মুর্শিদাবাদ জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার থেকে ওই যুবকের বাড়ির আশেপাশে চত্বর ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন থেকে এলাকার বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে মুম্বই থেকে ওই যুবকের নবগ্রামের ফেরতের সময় তার আরও যারা শ্রমিক সাথী ছিল তাদের খোঁজ করে দ্রুত লালারস পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নবগ্রাম ব্লকের ত্রিশের বছরের ওই যুবক সপ্তাহ খানেক আগে সঙ্গে আরও পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে করে মুম্বই থেকে জ্বর নিয়ে ফিরেছিলেন। দিন দুয়েক আগে তাঁকে প্রথমে নবগ্রাম হাসপাতাল পরের অবস্থা সংকটজনক হলে বহরমপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার তার মৃত্যু হয়। লালারসের রিপোর্ট হাতে আসতেই জানা যায় কোভিড আক্রান্ত হয়েই ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি শর্মিলা মল্লিক বলেন, "ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পরে হাতে এসে পৌছলে রিপোর্ট থেকে জানা যায়, করোনা পজিটিভে আক্রান্ত হয়েছিল সে"। মৃত যুবকের পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলেন, ছ’দিন আগে লরি ভাড়া করে অনেকের সঙ্গে সে ফিরেছিল। বাড়ি ফেরার পর থেকেই জণ্ডিসের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এলাকায় চিকিৎসা করানোর পর তাকে বহরমপুরে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল"।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ওই যুবকের বাড়িতে বর্তমানে তার মা, বাবা, স্ত্রী সহ দুই নাবালক সন্তান রয়েছে।তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সোমবার মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, উনি মুম্বই থেকেই জ্বর গায়ে নবগ্রামে ফিরেছিলেন। তারপরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পুরো ঘটনার খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে"।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়,এই মুহূর্তে জেলায় ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এক জনের কলকাতায় চিকিৎসা চলছে, বাকিদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৩৭ জন বহরমপুরে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।