সীমান্তবাসীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিল বিএসএফ। সেখানে একদিকে যেমন আরটি-পিসিআর টেস্ট চলছে। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে ওষুধ বিতরণ করছে সীমান্তের আধা সেনারা।
দেশ জুড়ে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে করোনায় সংক্রমনের সংখ্যা। উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 pargana) বসিরহাট মহকুমার (Basirhat) সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ব্লকেও ওমিক্রনে (omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেই সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে তথা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামগুলিকে কোভিড মুক্ত (Corona Free) রাখতে উদ্যোগী হল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। বিএসএফের ১১২নং ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আমুদিয়া, হাকিমপুর, নিত্যানন্দকাঠি ও তারালির মতো গ্রামগুলির কয়েক হাজার মানুষের হাতে তুলে দিল ওষুধ।
সীমান্তবাসীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিল বিএসএফ। সেখানে একদিকে যেমন আরটি-পিসিআর টেস্ট চলছে। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে ওষুধ বিতরণ করছে সীমান্তের আধা সেনারা। ওমিক্রনে যেহেতু বাচ্চাদের বেশি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বেশি করে কচিকাঁচাদের হাতে মাস্ক থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করেছে বিএসএফ।
এদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮০ জন। যার মধ্য়ে শুধু কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৩ জন। কলকাতার পাশাপাশি একই হারে দৈনিক সংক্রমণ কমেছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। যদিও দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমেছে এই জেলাতেও। উত্তর ২৪ পরগণায় গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্ত কমে হয়েছে ৯৬০ জন। যা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়াতে এই মুহূর্তে আক্রান্ত কমে ২২১ জন এবং হুগলিতে ২৩৫ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৪ জন।
প্রসঙ্গত, একুশ সালে ২৫ ডিসেম্বর গোটা রাজ্য়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫৫২ এবং কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৭ জন। ক্রিসমাস, বর্ষশেষের উৎসব পেরিয়ে বর্ষবরণের পর পয়লা জানুয়ারিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪৫১২ জন। এবং কলকাতায় একদিনে তখন আক্রন্তের সংখ্যা ছিল ২,৩৯৮ জন। অর্থাৎ রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ সংক্রমণই হয় কলকাতায়। এদিকে তারপরেই যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে তা প্রথমে ১০ হাজার এবং নিউইয়ারের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজারের গণ্ডী পেরোয়। ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ ২৩ হাজারের উপরে। অর্থাৎ সংখ্যাটা পয়লা জানুয়ারীর থেকে প্রায় ৬ গুণের উপরে। তবে এরপরের দিন থেকেই কার্যত কমতে থাকে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন, Bad Weather-Kolkata Airport: খারাপ আবহাওয়ার জের, রাঁচিগামী বিমান নামল কলকাতায়
তাই এই পরিস্থিতিতে একদিকে সীমান্ত পাহারা দিয়ে দেশসেবা অন্যদিকে মহামারীর সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিএসএফের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সীমান্তের মানুষ।