মুক্তিযুদ্ধের মশাল এখন মুর্শিদাবাদে, সীমান্তবর্তী জেলায় রয়ে গেল মোদীর সফরের রেশ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর। মুর্শিদাবাদে আয়োজিত হল মশাল প্রদর্শনী। প্রাক্তন জওয়ানদের বিশেষ সংবর্ধনা। এই মশাল প্রদর্শনীর সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

amartya lahiri | Published : Apr 2, 2021 4:56 PM IST

দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশে সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বাংলাদেশে সফরের রেশ ধরে রেখেই এদিন সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদে বিএসএফ-র পক্ষ থেকে মুক্তি যুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো মশাল প্রদর্শনী। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মুর্শিদাবাদের রৌশনবাগে অবস্থিত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জেলা সদর কার্যালয়ে।

এদিন, ওই অনুষ্ঠানে এক এক করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ১১ জন প্রাক্তন জওয়ানকে সম্মানিত করা হয়। মুক্তি যুদ্ধের স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ-এর সেক্টর হেড রাকেশ রাজদান, নবগ্রাম আর্মি স্টেশনের কর্নেল গৌরব সুদান প্রমুখ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী রাজদান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনীর বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। প্রতিবেশী বাংলাদেশকে পাকিস্থানের হাত থেকে স্বাধীন করতে জওয়ানদের আত্মবলিদানের কথা তুলে ধরেন।

২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এই মশাল প্রদর্শনীর সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে এই মশাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেছে। এই মশাল যাত্রার উদ্দেশ্য হল, মুক্তি যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। দেশের সৈনিকদের মনোবল বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি দেশের মানুষের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত করাও এর লক্ষ্য।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এই সম্মান পেয়ে দৃশ্যতই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তথা বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য নকুলচন্দ্র মন্ডল,  কাশিনাথ দেবনাথ, শঙ্করচন্দ্র দাসরা। পাকিস্থানের কাছ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে পেরে তাঁরা এক মুক্তির সূর্য লাভ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন এই বীর সেনানীরা।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানী সেনার হাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ১২৫ জন সৈনিক শহিদ হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন আরও ৪০০ জন। আজ পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি প্রায় ১৩৩ জন সৈনিকের।

 

Share this article
click me!