তৃণমূল থেকে দলে এসে পদ পাচ্ছেন নব্যরা। অথচ দীর্ঘদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেও বারাসত মণ্ডলে ব্রাত্য় পুরোনোরা। এই অভিযোগ থেকে হাতাহাতির উপক্রম হল বিজেপির বারাসত মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে।
লোকসভা নির্বাচনে ২ থেকে ১৮ আসনের পরই রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির উত্থান। পরিস্থিতি এমনই যে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন ঘাসফুলের বেশকিছু নেতা। গেরুয়া শিবিরে তাঁদের অন্তর্ভুক্তির পরই শুরু হয়েছে কোন্দল। এককালে বিজপির 'বিপদ'রাই এখন দলের সম্পদ হয়েছেন। অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদেরই দলের মাথা করছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার সেই ক্ষোভই ফেটে পড়ল বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের শুভাঙ্গম বিয়ে বাড়িতে।
সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যেই হাতাহাতিতে জড়ায় দলের দুই গোষ্ঠী। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার মন্ডল সভাপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই শুরু হয় বচসা। নিমেষের মধ্যেই সেই বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, সেখানে ৩৮টি মন্ডলের প্রায় ১৮ জনকে বাদ দিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সেখানেই জেলার কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন দলের পুরোনোরা।
পুরোনোদের দাবি, জেলা প্রেসিডেন্ট বদলের পরেই সদ্য তৃণমূল থেকে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদেরই মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে মার খেয়ে, বাড়ি ছাড়া হয়ে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে বিজেপি করেছে তাদেরকে সুকৌশলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তাঁরা জানান, যোগ্যতার বিচারেই মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে। বিজেপি একটি সাংগঠিক দল। এখানে তোষামদীর কোনও জায়গা নেই। পরিবারতন্ত্রেরও বিজেপিতে কোনও জায়গা নেই।
বিক্ষুব্ধদের দাবি, মন্ডল সভাপতির দুবারের মেয়াদকাল শেষ হয়ে গেছে। তাই পুরোনোদের মধ্য়ে থেকেই কাউকে প্রেসিডেন্ট করতে হবে। কারণ পুরোনোদের হাত ধরেই লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়েছে বিজেপি। তাই তাদের পদ থেকে সরানো যাবে না।