জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হতেই অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। বুধবার সকাল থেকেই অনশনে বসছেন বিমল গুরুং।
জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হতেই অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। বুধবার সকাল থেকেই অনশনে বসছেন বিমল গুরুং। বরাবর নির্বাচনের বিপক্ষে ছিলেন গুরুং। এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু তারপরেও জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। তবে দল এই বিষয়ে আমল দিতে রাজি নয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৫ বছর পর জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে পাহাড়ে। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে দিনক্ষণ ঘোষণা করল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন অনু্ঠিত হতে চলেছে। ভোট গণনা এবং ফলপ্রকাশ হবে ২৯ জুন। এই মর্মে ঘোষণা করলেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা, স্পেশাল অবজার্ভার। আগামী ২৭ মে সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে আপত্তি তুলেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। স্পেশাল অবজার্ভার এজি বর্ধন জানিয়েছেন, আগামী ২৭ তারিখ সরকারিভাবে জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে, শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন পর্ব। প্রাথমিকভাবে পাহাড়ি দলগুলি রাজি হলেও পরে বিরোধীতা করেন বিমল গুরুং। আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই, তারপর জিটিএ নির্বাচন হবে বলে দাবি তোলেন। গতকালই অনশনের হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা। যথারীতি বুধবার সেই সিদ্ধান্তেই উপনীত হলেন বিমল গুরুং।
আরও পড়ুন, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আজ ফের পার্থকে তলব করেছে সিবিআই, মন্ত্রীকে কী নিয়ে প্রশ্ন
পাহাড়ে ফিরে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই ঝোট বাধেন বিমল গুরুং। পাহাড়ে উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান স্বয়ং গুরুং। ওই সময়ে তিনি বলেছিলেন, পাহাড়ের স্বার্থে রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনে নেব। কারণ কেন্দ্র শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে। ' কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জিটিএ নির্বাচনের কথা বলতেই বেঁকে বসলেন বিমল গুরুং। সম্প্রতি এই নির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫ বছর পর জিটিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। জুন মাসে এই নির্বাচন হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়। নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে পাহাড়ি দলগুলি রাজি হলেও পরে বিরোধীতা করেন বিমল গুরুং। আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই, তারপর জিটিএ নির্বাচন হবে বলে দাবি তোলেন। তাঁধের এই দাবি না মানলে অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।এমনকি মঙ্গলবারের সর্বদল বৈঠকে নির্বাচন স্থগিত করার দাবিও তোলেন মোর্চার প্রতিনিধি। তবে মোর্চার যাবতীয় দাবিতে কার্যত জল ঢেলে ২৬ জুনই জিটিএ বিজ্ঞপ্তি জারির পথে এগোচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন, পার্থ-পরেশ-কেষ্ট-র মোট সম্পত্তি কত ? ৫ বছরের আয়কর রির্টান জানতে চেয়ে চিঠি সিবিআই-র