ছেচল্লিশ লাখ অতিক্রান্তের জেরে মুর্শিদাবাদে ভ্যাকসিন তৎপরতা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ' টার্গেট' নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ করার ঘোষণা।
ছেচল্লিশ লাখ অতিক্রান্তের জেরে মুর্শিদাবাদে (Mursidabad) ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ' টার্গেট' নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ করার ঘোষণা। মুর্শিদাবাদের ডোমকল, বসন্তপুর, হরিহরপাড়া, ইসলামপুর, জলঙ্গি সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে কয়েক লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে রয়েছে।আর তাই তাদের সকলকে দ্রুত চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম 'ডোজ' এর টার্গেট শেষ করে ফেলার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর এর পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের (WB Health Department) কাছে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে তড়িঘড়ি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লাগাতার 'ম্যাক্রো লেভেলে' ক্যাম্পের আয়োজন করে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শেষ করার টার্গেট পূর্ণ করতে ব্যাপক তৎপরতা নিয়ে মাঠেে নামল স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই মতো গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বেশি সংখ্যায় ক্যাম্প করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন না নেওয়া লোকজনদের খুঁজে বের করছেন। তাঁদেরকে ক্যাম্পে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, জেলায় এখনোও পর্যন্ত প্রায় ৪৬ লক্ষ্যের বেশি জান প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫লক্ষ্য জনের কাছাকাছি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১৮বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৫৫লক্ষ পুরুষ ও মহিলা রয়েছেন। অর্থাৎ এখনও প্রায় ৯ লক্ষ বাসিন্দা ভ্যাকসিন নেননি।জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, জেলার সর্বত্র ক্যাম্প করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি"। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার নিরিখে মুর্শিদাবাদ জেলা ৩ নম্বরে রয়েছে। ৬০লক্ষের বেশি ডোজ জেলায় দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন মাঠে ধান কাটার কাজ চলছে। রবিশস্য চাষ করার জন্য অনেকে সকাল থেকেই মাঠে চলে যাচ্ছেন। ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে এবার বিকেলের দিকে কয়েকটি এলাকায় ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আধিকারিকদের দাবি, প্রথম দিকে ভ্যাকসিন নিতে জেলার গ্রামীণ এলাকার বহু বাসিন্দা উৎসাহী ছিলেন না। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিটি এলাকায় গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার উপকারিতা বুঝিয়ে বলেন। তারপরই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেখা যায়। শহর এলাকাগুলিতে ভ্যাকসিনের কুপন নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, কান্দি, বেলডাঙা, ডোমকল, জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ বা লালবাগের মতো শহরগুলিতে অধিকাংশ বাসিন্দা প্রথম ডোজ নিয়েছেন। রাজ্যের সমস্ত শহরের ছবিটা একইরকম। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় অনেকেই এখনও ভ্যাকসিন নেননি। তাঁদের খুঁজে বের করে ভ্যাকসিন দেওয়াটাই আধিকারিকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর মুর্শিদাবাদ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে প্রত্যন্ত এলাকায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টার্গেট পূরণের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রথম ডোজ সম্পন্ন করার কাজ কে স্বাগত জানাচ্ছে সব মহল।