হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। বাকি সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।
মকর সংক্রান্তিতে আজ গঙ্গাসাগরে পূণ্যস্নান সারবেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে আজ সকাল থেকেই সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সাকল থেকেই মেঘলা করে রয়েছে আকাশ। আজ গোটা দিন আবহাওয়া এইরকমই থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ১৬ জানুয়ারি থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। বাকি সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে সপ্তাহান্তে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা। আর আজ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কমবে রাতের তাপমাত্রা। শনিবারের পর থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। দার্জিলিং ও কালিম্পং ছাড়া বাকি জেলাতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে দু'দিন ঘন কুয়াশা থাকবে। আর ১৬ জানুয়ারি পরিষ্কার হয়ে যাবে দুই বঙ্গের আকাশ।
অবশ্য এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেলেই রাজ্যে যে জাঁকিয়ে শীত প্রবেশ করবে তা একেবারেই নয়। কারণ তার দুই থেকে তিনদিন পরে আবার দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে রাজ্যে। আর তার প্রভাবে আবারও বাড়বে তাপমাত্রা। ফলে এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবেন না বঙ্গবাসী। আর জাঁকিয়ে শীতের দেখা এই মরশুমে আর পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
প্রসঙ্গত, চলতি মরশুমে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত (Winter) খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পৌষের শুরুর দিকে রাজ্যে শীতের আমেজ বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু, তারপর থেকেই ঘূর্ণিঝড় ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে রাজ্যে বাধা পায় উত্তুরে হাওয়া। ডিসেম্বরেও বেশিরভাগ সময়ই আকাশ ছিল মেঘলা। ফলে ডিসেম্বরে তেমন একটা ঠান্ডার অনুভূতি পাননি বঙ্গবাসী। আর জানুয়ারিতেও তার খুব একটা হেরফের হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। জানুয়ারিতে পরপর তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দাপট দেখিয়েছিল রাজ্যে। তাই যে তাপমাত্রা কমেছিল সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ৫ তারিখ থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। দুই বঙ্গেই আগামী দু’দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। সঙ্গে থাকবে ক্ষণিকের রোদ। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে যাওয়ার পরও জলীয় বাষ্পের কারণে কুয়াশার প্রভাব থাকবে। এরপর আবার দুটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে আসবে রাজ্যে। আর তার প্রভাবেই ফের বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া।