ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের ছাত্র হিমাংশুর সাফল্যে আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে তাদের বালি দেওয়ানগাজি রোডের ফ্ল্যাটে। ছোট্ট পরিবারে বড় ছেলে হিমাংশু যে এতবড় সাফল্য পাবে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছেনা মা অনিতা প্রসাদ ও বাবা উপেন্দ্রপ্রসাদের।
প্রকাশিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান অধিকারের পর পশ্চিমবঙ্গ জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেল বালির বাসিন্দা হিমাংশু শেখর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন একই নামের, অর্থাত্ হিমাংশু শেখর, বাড়ি শিলিগুড়ি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সপ্তর্ষি মুখোপাধ্যায় এবং চতুর্থ স্থানে জাহ্নবী শ।
ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের ছাত্র হিমাংশুর সাফল্যে আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে তাদের বালি দেওয়ানগাজি রোডের ফ্ল্যাটে। ছোট্ট পরিবারে বড় ছেলে হিমাংশু যে এতবড় সাফল্য পাবে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছেনা মা অনিতা প্রসাদ ও বাবা উপেন্দ্রপ্রসাদের। বাবা উপেন্দ্রপ্রসাদ হাওড়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টার। তিনি নিজের অফিসে কর্মরত অবস্থাতেই খবর পান ছেলের বড় সাফল্যের।
হিমাংশু জানিয়েছে সিবিএসইর চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি জয়েন্টের জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। তবে মূলত সর্বভারতীয় জয়েন্ট মেন ও অ্যাডভান্সের ফলের দিকেই এখন অপেক্ষায় আছে হিমাংশু। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে নিজেকে শিল্পোদ্যোগী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চায়।
জেলাভিত্তিক ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তারপরেই রয়েছে কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর। আবারও জয়েন্টের ফলাফলে সিবিএসই দাপট স্পষ্ট। উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের মাত্র ২ জনই মেধা তালিকার প্রথম দশে রয়েছেন। বাকিরা অধিকাংশ সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়া। পরীক্ষার্থীদের ১৯.৫ শতাংশই মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। ৭৩ শতাংশ ছাত্র আর ২৬ শতাংশের বেশি রয়েছেন ছাত্রী। চলতি বছর পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ লক্ষ ১ হাজার ৪১৩ জন। যারমধ্যে ১৮৪৮০ জন রাজ্যের বাইরে থেকে এসেছিল। চলতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।
অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে কাউন্সেলিং। শেষ হবে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। চলতি বছর জয়েন্টে সবথেকে ভালো ফল করেছে উত্তর ২৪ পরগনা। তারপর রয়েছে কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর আর হুগলি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জয়েন্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।