পশ্চিমবঙ্গে মানুষে বিজেপি-র দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে রাজ্যে রাজ্যে ভুগতে হচ্ছে বিজেপি-কে। ঠিক যে কারণে দিল্লিতে ভুগতে হলো পদ্ম শিবিরকে। এমনই দাবি করে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের অস্বস্তি বাড়ালেন সর্বভারতীয় হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য।
বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করতে সভার আয়োজন করেছিল হিন্দু সংহতি। সোমবার বিকেলে তারাপীঠ থানার তারাপুর গ্রামে সরস্বতী শিশু মন্দিরে সংগঠনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রজত রায়, সাধারণ সম্পাদক টোটোন হাজরা, কলকাতার যাদবপুর শাখার সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি বল।
সেই সভার শেষেই দেবতনুবাবু বলেন, 'কেন্দ্রে ভারতবর্ষের মানুষ নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহকে চেয়েছিলেন। তাই দু' হাত ভরে তাঁরা ভোট দিয়ে তাঁদের ক্ষমতায় এনেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল, রাম মন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষও বিজেপিমুখী হয়েছিলেন। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি করে বিজেপি- তে এসেছেন। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে যথেষ্ট। ফলে মানুষকে অন্য কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে। যেমনটা হলো দিল্লিতে। সেখানে স্থানীয় ইস্যুগুলো বিজেপি নেতৃত্ব ধরতে পারেনি। সেদিক থেকে আপ স্থানীয় মানুষের সমস্যা তুলে ধরতে পেরেছে। তাই তারা ভাল ফল করেছে।'
তিনি আর বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন আনা খুব প্রয়োজন। আমরা তিনটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। তার মধ্যে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান অন্যতম। সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। এবার আমাদের দাবি রয়েছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ। অবিলম্বে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইন না আনলে পশ্চিমবঙ্গে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। ইতিমধ্যে বীরভূম জেলা জুড়ে ব্যাপক হারে জনসংখ্যা বেড়ে চলছে। যা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। এখনই এ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।'
দেবতনুবাবু বলেন, 'বীরভূমে আমাদের কোনও শাখা ছিল না। তারাপীঠের পুণ্যভূমি থেকে মা তারাকে সামনে রেখে আমরা জেলায় পথ চলা শুরু করলাম। ধীরে ধীরে প্রতিটি জেলায় আমরা সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলব।' মঙ্গলবারের সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুশো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।