বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রয়াণ দিবসে মুর্শিদাবাদে সিরাজের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জোরালো দাবি। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে ভাবগম্ভীর ভাবেই রবিবার পালিত হল স্বাধীনতা প্রিয় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ২৬৫ তম প্রয়াণ দিবস।
আরও পড়ুন, পুজোয় বড় উপহার, অক্টোবারেরই চালু হতে চলেছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন
বেশ কয়েক বছর যাবৎ সিরাজের মৃত্যু দিনকে শহিদ দিবশ হিসেবে পালন করে আসছে নবাব সিরাজ উদ দৌলা স্মরণ সমিতি। সেইমতো নবাবের সমাধিস্থল ভাগীরথী নদীর পশ্চিম পাড় অর্থাৎ মুর্শিদাবাদ শহরের ঠিক উল্টো দিকে খোশবাগে এলাকার সাধারণ মানুষ ও কিছু সংগঠনের সদস্য উপস্থিত হয়ে তাদের প্রিয় নবাব কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন । করোনা আবহে সিরাজের সমাধি ক্ষেত্র বন্ধ থাকায় মাত্র পাঁচ জনকে ফুল ও ফুলের মালা নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ।ফলে এবছর বেশ কিছু আয়োজনের কাট ছাঁট করতে হয় সমিতিকে। এক ষড়যন্ত্রের ফলে এ দিন অর্থাৎ নবাবকে হত্যা করা হয়। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলার স্মরণ সমিতি এই দিনটিকে তাঁর মৃত্যু দিন কিংবা প্রয়াণ দিবস বলতে নারাজ , বরং সিরাজ কে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহিদ বলে তারা দাবি করেন। এর সপক্ষে ইতিহাসের গবেষকদের তথ্য প্রমান দিয়ে তারা এক দশকের কিছু বেশি সময় ধরে এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন, ভরা বর্ষায় সর্ষে ইলিশ, সঙ্গে ২-৩ দিনের সফর, নয়া ভাবনায় 'হিলশা ট্যুরিজম'
সিরাজউদ্দৌলার প্রয়াণ দিবসে খোসবাগে সমিতির সদস্যরা উপস্থিত হয়ে প্রথমে নবাবের সমাধিতে পুস্প নিবেদন করেন ও দিন ভর বিভিন্ন অনুষ্ঠান আলোচনার মধ্য দিয়ে সিরাজের জীবন বোধ , দেশ প্রেম নিয়ে আলোচনা করে থাকেন । কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সে সব আয়োজন বাতিল করা হয় । সিরাজকে নিয়ে যে সব মুখরোচক গল্প রয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই বলে বলে উল্লেখ করেন ইতিহাস গবেষক তথা সিরাজউদ্দৌলার স্মরণ সমিতির সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস । তাই দাবি তোলা হয় সিরাজের সঠিক মূল্যায়ন করে তাঁর যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হোক । পরবর্তীতে সমিতির সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস বলেন ,'শহিদ দিবসে আমরা দাবি তুলেছি ,রাজ্য সরকার এই দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করে সিরাজকে সম্মানিত করুক এবং সিরাজের নামে জেলায় একটি বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে তোলা হোক ।'