এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার ৯০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করবে। যে সংস্থা ওই বৃদ্ধাশ্রমটি চালানোর জন্য মনোনীত হবে তাকে দিতে হবে ১০ শতাংশ অর্থ আর রাজ্য সরকার দেবে জমি ।
প্রৌঢ়দের( Aged People) জন্য সুখবর(Good News)! সেন্ট্রাল মিনিস্ট্রি অফ হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট (MHRD) এর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে বিশাল বৃদ্ধাশ্রম। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামীণ পরিবেশে ৩৫ বিঘা জমির ওপর এই বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা হয়েছে। মিলবে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগও। অসহায় প্রৌঢ়দের জন্য এবার এগিয়ে এলো কেন্দ্রীয় মানব কল্যাণ মন্ত্রক।
সেইমতো সেন্ট্রাল মিনিস্ট্রি অফ হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এর প্রতিনিধিরা মুর্শিদাবাদে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বৃদ্ধদের জন্য ৩৫ বিঘার বিশালায়তন জমির ওপর ৭৫ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক মানের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক অনির্বাণ সাহা বলেন, “স্যোসাল ওয়েলফেয়ার দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৭৫ শয্যার বৃদ্ধাশ্রম হলেও পরবর্তীতে সেটিকে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট করা হবে"। আদিবাসী অধ্যুষিত নবগ্রামের বুক চিরে চার লেনের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ রক্ষা করে। ওই রাস্তার পাশেই নবগ্রাম পলশণ্ডা মোড় লাগোয়া খয়রাগাছিতে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা হবে বলে স্থির করা হয়েছে।
এজন্য প্রশাসনিক ভাবে কেন্দ্র-রাজ্য প্রতিনিধি দলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি । ঐ বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, “বহু চেষ্টার ফল লাভ করতে চলেছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ। এখানে একেবারে বিনামূল্যে সরকারি সুবিধায় বার্ধক্যে পৌঁছানো পুরুষ মহিলা থাকার সুযোগ পাবেন।”
এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার ৯০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করবে। যে সংস্থা ওই বৃদ্ধাশ্রমটি চালানোর জন্য মনোনীত হবে তাকে দিতে হবে ১০ শতাংশ অর্থ আর রাজ্য সরকার দেবে জমি । এই শর্তেই প্রকল্পটি গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি বৃদ্ধাশ্রমটি পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেন বিধায়ক কানাই মন্ডল।
এই ব্যাপারে নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, “কোনও বেসরকারি সংস্থা নয়, পঞ্চায়েত সমিতিকে ওই বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি আস্থাশীল হবেন।” শুধু বৃদ্ধাশ্রম গড়ে দেওয়া নয়, যদি কোন বৃদ্ধ তার চাহিদা মত ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, সেক্ষেত্রে তাকে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য দেওয়া হবে এমন দাবিও করেন বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল ।