নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে স্নানে নামতেই বিপাকে পর্যটক। সমুদ্রে তলিয়ে গেল দুই পর্যটক।
ধেয়ে আসছে গুলাব। তার প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। ফলে যে কোনো সময় সমুদ্রে ঘটতে পারে বিপদ। তাই সমুদ্র স্নানে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। তবে হুঁশ নেই পর্যটকদের। নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে স্নানে নামতেই বিপাকে পর্যটক। সমুদ্রে তলিয়ে গেল দুই পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে দিঘার অদূরে তালসারিতে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকার জেরে সমুদ্র স্নানে পর্যটকদের বারণ করছে দিঘা প্রশাসন।
সেই ফাঁকে আবারো সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে ৮ জন পর্যটকদের দল পুরোনো দিঘার একটি হোটেলে ওঠে। সমুদ্র স্নান করতে না পেরে নিউ দিঘা পেরিয়ে উদয়পুর সমুদ্র সৈকতে স্নান করতে নামে সবাই। তবে ওই দলের ছয় জন উঠে এলেও বাকি দুই জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান নিখোঁজ দুই জন মদ্যপ অবস্থায় ছিল, তার জেরে এই ঘটনা। এই খবর জানার পর নিখোঁজ পর্যটকদের খোঁজে নামানো হয়েছে পুলিশ বোট। চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে তালসারি থানা।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, 'ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'-র এই মুহূর্তে গোপালপুর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে। এবং কলিঙ্গপত্তনম থেকে ২২৫ কিলোমিটার অবস্থান করছে। ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব', গোপালপুর এবং কলিঙ্গপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাবে।
রাতের বেলা ৭৫ কিমি থেকে ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগে ছুটে যাবে সাইক্লোন। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে উপকূলের জেলাগুলিতে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে হওয়ার বয়ে যাবে ঝোড়ো হাওয়া। এদিন বেশি বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা জেলা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। ২৮,২৯ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে সব জায়গায় বৃষ্টি হবে। বেশি বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতায়, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে। ২৯ সেপ্টেম্বর পশ্চিমের জেলাগুলোতে বৃষ্টি বাড়বে। উপকূলের জেলাগুলোতে হওয়া গতি থাকবে ৫০ থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলোর জলের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। নিচু জায়গাগুলোতে কিন্তু আবারও জল জমার একটা সম্ভাবনা থাকছে। প্রসঙ্গত, আগাম দুর্যোগ এড়াতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী । দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিশেষ নজর দিয়ে বলা হয়েছে, সব বিদ্যুতের পোস্ট যাতে ঢাকা থাকে। কোনও বৈদ্যুতিক তার যাতে খোলা না থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।