এসএসসি স্ক্যামে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীবপার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এবার আরও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে, পর্থে পার্থ তারপর মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এই দুর্নীতি মামলায় নাম জোরালো রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত
এসএসসি স্ক্যামে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীবপার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এবার আরও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে, পর্থে পার্থ তারপর মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এই দুর্নীতি মামলায় নাম জোরালো রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ইডি এবার উঠে পড়ে লেগেছে চিরুনি তল্লাশিতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আপাতত ইডির হেফাজতে,প অর্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতাও। এসএসসি কেলেঙ্কারিতেরাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম প্রায় শিহরণ সৃষ্টি করেছিল, এরপর পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার সম্পত্তির হদিস পেয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫২ কোটি টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না উদ্ধার করে ইডি, এখানেই শেষ হয়, এরপর তাঁদের কাছে খবর আসে অর্পিতার চারটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে যার সঙ্গে এই দুর্নীতির যোগসূত্র রয়েছে। ওই গাড়ি গুলির একটি খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপহার দিয়েছিলেন অর্পিতাকে, এরপর শুরু হয় গাড়ির খোঁজ, কিন্তু যথাসময়ে নিখোঁজ হয় চারটি গাড়ি, তাই সন্দেহের পারদ আরও চড়তে একে, ইতিমধ্যেই জোর কদমে ওই গাড়িগুলির খোঁজ শুরু করে দিয়েছে ইডি। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের নাম জরালো এই দুর্নীতি মামলা। এসএসসি স্ক্যামে এবার শিক্ষা দফতরের এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর ওই আধিকারিক একসময় দার্জিলিং-এ কর্মরত চিলরন বহুদিন। তাঁর আমলে হাই স্কুলে ঠিকমত কোনো নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে, শুধু তাই নয় তাঁর সময় কোনো নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি বলে দাবি উঠেছে। ওই আধিকারিক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর প্রতি সিনদেহ আরও দানা বাঁধছে। শাসক দলের অন্দরমহলের সঙ্গেও কি যোগাযোগ বা ঘনিষ্ঠতা ছিল ওই আধিকারিকের? খতিয়ে দেখছে ইডি।
আরও পড়ুন,তাপসী পান্নুর জন্মদিনে রইলো তাঁর আগাম ছবিগুলির ঝলক
আরও পড়ুন,স্টেজ থেকে মালাইকাকে ফ্লাইং কিস ছুড়ছেন অর্জুন! দেখুন সবচেয়ে মিষ্টি ভিডিও টি!
শাসক দলের কিছু স্থানীয় নেতৃত্বের মুখে অভিযোগ যে ঐ আধিকারিক একটি হয় স্কুলেও ঠিক ঠাক বা নিয়ম মেনে নিয়োগ করেননি। যোগ্য ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষিকার তার ফলে বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। যাদের চাকরি হয়েছে তাঁদের আদৌ যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায়, ওই আধিকারিক নাকি একসময় পাহাড়ের ক্ষেত্রেও নিয়োগ পরিচালনা করতেন। জিটিএর অধীনে থাকা স্কুলগুলোতে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে, এছাড়াও ওই অধিকারীর শাসক দলের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে তাই তিনি নিয়ম না মেনে নিজের ইচ্ছা মতন অনেক কাজ করতেন বলে জানা যাচ্ছে। হুবহু তাই নয়, শিক্ষা ফডিটর অর্থাৎ বিকাশ ভবনে তাঁর পরিচিত অনেকে ছিলেন যাদের দিয়ে তিনি ইচ্ছামত অনেক কাজ করিয়ে নিতেন। অবশ্য এখন তাঁদের অনেককেই শিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইডি জানায়, এ বিষয়ে তাঁরা অনেক তথ্য পেয়েছেন, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তারপরেই জানা যাবে অনিয়ম লেনদেনের আদৌ হয়েছে কিনা। এছাড়াও শিলিগুড়ির গ্রামামাঞ্চলের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম ও উঠে আসছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে ঐ অর্ধান শিক্ষকের দৌলতে অনেকেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার শিক্ষা ভবনে বদলি হয়ে এসেছেন। কলকাতার কার সঙ্গে দেখা করে কি কি করতে হবে এসব তিনি তাঁদের বুঝিয়ে দিতেন। শুধু তাই নয় তিনি একবার এক শিক্ষকের সঙ্গে ফ্লাইটে কলকাতায় এসে বদলির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁকে।