বাংলার ছেলেমেয়েদের রেলের চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার বাইরে দেওয়া যাবে না।রেল মন্ত্রীকে বাংলা পক্ষ-এর তরফে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছে।
বাংলার ছেলেমেয়েদের রেলের চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার বাইরে দেওয়া যাবে না। এতে ছেলেমেয়েদের খুব সমস্যা হয়। তাই যাতে পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলার মধ্যেই পড়ে, তাই রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাংলা পক্ষ। বাংলার কর্ম প্রার্থীদের রেলের চাকরির পরীক্ষাকেন্দ্র বাংলার বাইরে নির্ধারণ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এই সমস্যা দূর করার দাবি করে রেল মন্ত্রীকে বাংলা পক্ষ-এর তরফে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছে। এই প্রতিবাদ পত্রে রেলের পরীক্ষায় বাংলার কর্ম প্রার্থীদের রাজ্যের বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্র জনিত সমস্যাগুলিকে তুলে ধরে রাজ্যের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
রাজ্যের বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ার ফলে বাংলার কর্ম প্রার্থীদের উক্ত রাজ্যে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য সেখানে হোটেল, মেস প্রভৃতির ব্যবস্থা করা একদিকে যেমন সমস্যার হয়ে পরে, অন্যদিকে এই জন্য তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই কর্ম প্রার্থীদের তাদের পরিবারের কোন অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে অন্য রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। মহিলা কর্ম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রায় সকলেই তাদের অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে তবেই ভিন রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্র যেতে বাধ্য হন। এর ফলে যেমন পরিবারের উপর আর্থিক বোঝা চাপে তেমন ভাবেই অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যার জন্য যোগ্য প্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেন না।
এছাড়াও বিগত দিনের বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে বাংলার কর্ম প্রার্থীদের যখন ভিন রাজ্যে পরীক্ষা দিতে গেছে তাদের উপর সেই রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা শারীরিক হেনস্থা এবং আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।ইতিমধ্যেই কর্ম প্রার্থীদের তরফে রেল দপ্তরের কাছে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই দাবি মানা না হলে আগামী দিনে বাংলা পক্ষ সংগঠনের তরফে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কাশীপুরে বিজেপির কর্মীকে 'খুনের' অভিযোগ, সফরসূচি বদলে সোজা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন অমিত শাহ
তবে এর আগেও একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ করে সফলতা পেয়েছে বাংলা পক্ষ। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তিন বছরের আন্দোলনের ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, বলে গতবছর দাবি করেছিল বাংলা পক্ষ। গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার উচ্চ বেতনের চাকরিতে বহিরাগতদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদ আন্দোলন করে আসছি। অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে আমরা পরীক্ষায় বাংলা ভাষায় লিখিত ও মৌখিকের দাবি করেছিলাম।সম্প্রতি সংস্থার চাকুরির বিজ্ঞাপনে আমরা লক্ষ্য করি ৫ নম্বর বাংলা ভাষার লিখিত ও ১৫ নম্বর মৌখিক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।এরফলে বাংলা ভূমিসন্তানরা চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবে বলেই আমরা আশা করছি।'
আরও পড়ুন, 'ছেলেরা এখন মেয়েদের বন্ধু', ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বাম-বিজেপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মমতা