বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দলীয় কার্যালয়ে যান শতাব্দী রায়। সেখানে রামপুরহাটেলর বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের শহর সভাপতি সৌমেন ভকত, পুরসভার সহ প্রশাসক আব্বাস হোসেনদের উপস্থিতিতে কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন।
রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (State Health Department) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১২৮ জন। তার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই (Kolkata) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০ জন। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই ফের লকডাউন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন আসন সংরক্ষণের জন্য কোনও বিদায়ী কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না পেলে অন্য ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দলীয় কার্যালয়ে যান শতাব্দী রায়। সেখানে রামপুরহাটেলর বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের শহর সভাপতি সৌমেন ভকত, পুরসভার সহ প্রশাসক আব্বাস হোসেনদের উপস্থিতিতে কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে আসন্ন পুরসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দী বলেন, “বেশ কিছু উন্নত দেশে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে স্বভাবিক জীবনের দিকে ফিরছিলাম। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় জমায়েত হয়েছে, মানুষ এত বেশি আনন্দ করেছে তাতে সংক্রমণ বাড়ছে। মানুষও দু বছর বাড়িতে বন্দী থেকে কখন বেরবে সে সব ভাবছিল। তাতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে আবার লকডাউন হতে পারে। আবার লকডাউন শুরু হলে পিছিয়ে পড়া মানুষকে আবারও পিছিয়ে যেতে হবে।”
আসন্ন পুরসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “সারা বছর যারা মানুষের পাশে থাকে, জেতার জায়গায় থাকবে তাদেরই টিকিট দেওয়া হবে। তবে সংরক্ষনের ধাক্কায় নিজের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে না পারা কাউকে অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করা সম্ভব নয়। কারণ সেখানেও একজন বিদায়ী কাউন্সিলর রয়েছেন। তবে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি দেখছেন। আমরাও নজরে রাখছি। দেখা যাক কতজনকে সুযোগ দেওয়া যায়।”
যদিও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এই মুহূর্তে রাজ্যে লকডাউন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "গত দু'বছর লকডাউন দেখেছি আমরা। মানুষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়েছে। তাই এখনই লকডাউন করা হবে না। যে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে সেখানে কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে। বিধিনিষেধ জারি করা হবে। আর লক্ষ্য রাখা হবে জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয়।"
পাশাপাশি ব্রিটেন থেকে কলকাতায় আসা সবকটি সরাসরি বিমান (UK-Kolkata direct flights) বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।