বারাসতে বন্ধ ইন্টারনেট , অফিসের কাজ করতে এয়ারপোর্টে কর্মীরা

Published : Dec 17, 2019, 05:32 PM IST
বারাসতে বন্ধ ইন্টারনেট , অফিসের  কাজ করতে এয়ারপোর্টে কর্মীরা

সংক্ষিপ্ত

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে হিংসাত্বক রূপ নিয়েছে রাজ্য়  একে একে আগুন জ্বলছে বাসে, স্টেশনে  গুজব এড়াতে বারাসতে বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা বাধ্য হয়ে বাড়ির কাজ করতে বাসস্ট্যান্ড ভরসা হয়েছে অফিস কর্মীদের

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে হিংসাত্বক রূপ নিয়েছে রাজ্য়। একে একে আগুন জ্বলছে স্টেশনে। গুজব এড়াতে বারাসতে বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তিন দিনেও শোধরায়নি পরিস্থিতি। বাধ্য হয়ে বাড়ির কাজ করতে বাসস্ট্যান্ড ভরসা হয়েছে অফিস কর্মীদের। বারাসত থেকে এয়ারপোর্টের দিকে এসে অফিসের কাজ করছেন তাঁরা।

খাবার অর্ডার থেকে সংবাদ পরিবেশনের কাজ। ইন্টারনেটের অভাবে সবই থমকে গিয়েছে বারাসতে। বাড়িতে ওয়াইফাই থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন না কেউই। মোবাইলে ডেটা কার্ড ভরিয়েও হটস্পটের মাধ্য়মে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না সারভারের সঙ্গে। বাধ্য় হয়েই বারাসত চত্বর ছাড়িয়ে অপিসের কাজ করতে বেরোতে হচ্ছে কর্মীদের। অনেকেই ইন্টারনেটের সুবিধা পেতে যাত্রী প্রতীক্ষালয়কেই আদর্শ জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।

তবে যেকোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে গেলেই হচ্ছে না কাজ। বারাসত ছাড়িয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে আসতে হচ্ছে অনেকটা দূর। দমদম বিমান বন্দরের কাছে গেলেই মিলছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সেখানে বসেই কাজ সামলাচ্ছেন বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন যশোর রোডের পাশে বসেই কাজ  সামলাচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য়ের বর্তমান অবস্থা বলছে, মুখ্য়মন্ত্রীর হাজার অনুরোধেও কাজ হচ্ছে না। রাজ্য়ে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। 

রাজ্য়ে ক্যাব নিয়ে হিংসাত্বক পরিস্থিতি ঠেকাতে হেল্প লাইন খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার এই হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করলেই মিলবে সাহায্য। পাশাপাশি কেউ গুজব ছড়ালে তাও পুলিশের নজরে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে রাজ্য় পুলিশের তরফে। বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজ্য় পুলিশ জানিয়েছে, কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলেছে তারা। নিম্নলিখিত নম্বরে ফোন করলে সব ধরনের সহযোগিতা করবে রাজ্য় পুলিশ।
হেল্প লাইন নম্বরগুলি হল- ০৩৩ ২২১৪ ৫৪৮৬, ০৩৩ ২২১৪ ৪০৩১, ০৩৩ ২২১৪ ১৯৪৬

তবে সাহায্য়ের আশ্বাসের পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যে কোনও ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো বা সামাজক শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কেঠার ব্য়বস্থা নেবে পুলিশ। রাজ্য় পুলিশের দাবি, কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ভিডিয়ো ও ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যা রাজ্য়ের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। এই হিংসা ছড়ানোর কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। আগামী দিনে কেউ হিংসায় প্ররোচনা দিলে তাকেও রেয়াত করবে না রাজ্য় পুলিশ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই বার্তা।  

PREV
click me!

Recommended Stories

Humayun Kabir : যেখানে হবে বাবরি মসজিদ, সেখানেই হল প্রথম নমাজ! ফের হুঙ্কার হুমায়ুনের
Saugata Roy Cigarette Incident: সংসদে সিগারেট কাণ্ড, তৃণমূলের সৌগত রায়কে ধুয়ে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব