'মাস্টারপ্ল্যান না হলে ঘাটালকে বাঁচানো সম্ভব নয়', বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে দুর্গতদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা। ত্রাণ সামগ্রী বিলি করে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক রেশমি কমল, পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার, সাংসদ দেব ও বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 10, 2021 9:11 AM IST / Updated: Aug 10 2021, 02:58 PM IST

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ হেলিকপ্টারে করে ঝাড়গ্রাম থেকে ঘাটালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অনুকুল আশ্রম মাঠে নামেন তিনি। আশ্রমে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সড়ক পথে এক কিলোমিটার দূরে থাকা আটগোড়া এলাকায় যান। ওই এলাকার একটি রাজ্য সড়ক জলে ডুবে রয়েছে। রাজ্য সড়কের উপর নৌকোয় করে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ি করেছেন মমতা। 

 

সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে আসার সময় পরিস্থিতি দেখছিলাম। সেখান থেকে দেখতে আমার সুবিধা হচ্ছিল। আমি একটা ভিডিও করেছিলাম। সেই ভিডিওতে দেখলাম মাঠ, ঘাট, দোকান, বাড়ি সব ডুবে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসনকে এখানে আরও অনেক কাজ করতে হবে। অনেক ক্যাম্প করতে হবে। আমি এখানকার পরিস্থিতি দেখে গেলাম। সেই মতো একটা রিপোর্ট তৈরি করব।"

তাঁর আরও সংযোজন, "ঘাটালের জমি অনেকটা নিচু। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অনেকবার বলা হচ্ছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্ল্যান। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার কিছুতেই এটার অনুমতি দিচ্ছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, দিঘা সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করব। কারণ আমি প্রতিবছর দেখছি যে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। তার সঙ্গে জল ছেড়ে দেওয়ায় ফলে পরিকল্পিত বন্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানটা আমি সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়াকে বলব কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা আবেদন জানাতে অনুরোধ করব। তা না হলে ঘাটালকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।"

ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে দুর্গতদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা। ত্রাণ সামগ্রী বিলি করে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক রেশমি কমল, পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার, সাংসদ দেব ও বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর হেলিকপ্টারে করে ফের কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

আরও পড়ুন- ক্রমশ ছোট হচ্ছে শরীর-কমছে উচ্চতা, বিরল রোগে আক্রান্ত ২৮ বছরের মেয়ে

আরও পড়ুন- অনাস্থা আনার 'শাস্তি', বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে

উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জেলার অন্য স্থানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ঘাটালে চিত্র একই রকম রয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের হিসেবে জেলাতে প্রায় ৪ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তার মধ্যে ৬৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরানো হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। যাদের দু'লক্ষ টাকা করে প্রাথমিক আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। জেলাজুড়ে ২২ হাজার বাড়ি ভেঙেছে। যার মধ্যে ঘাটালে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। ঘাটাল পৌর এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের বারোটিতে এখনও জলমগ্ন। 

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের আগে কড়া নিরাপত্তা শহরে, বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় ওড়ানো যাবে না ফানুস-ড্রোন

আরও পড়ুন- 'জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তি' তুলে ধরার চেষ্টা, এবারই প্রথম ১৫ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তুলবে সিপিএম

Share this article
click me!