রুম্পা, ঝুম্পা, টুম্পা। এরাই এখন হুগলির হিন্দমোটর- এর সেলিব্রেটি! বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন এখন ওদের দেখতে আসে। তবে মানুষ, তিনটিই তিন শেয়ালের নাম।
এক সময় হুগলির হিন্দুস্তান মোটরস- এর কারখানাটির আকর্ষণই সাধারণ মানুষের কাছে অন্যরকম ছিল। চলন্ত ট্রেন থেকে বড়রা এই কারখানা দেখিয়েই ছোটদের গাড়ি তৈরি হওয়ার কথা বলতেন। সেসবই এখন সোনালি অতীত। প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ হিন্দুস্তান মোটরস-এর কারখানা। নতুন তৈরি অ্যাম্বাসাডর যে রাস্তায় চালিয়ে পরীক্ষা করা হতো, সেই টেস্টিং রোড এখন ঝোঁপ জঙ্গলে ভর্তি। আর সেখানে এখন এই রুম্পা, ঝুম্পা, টুম্পাদের রমরমা। বন্ধ কারখানার ঝোঁপ জঙ্গলে নিশ্চিন্তে বংশবৃদ্ধি করছে শেয়ালরা। আর তাদের কয়েকটি মানুষের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করে ফেলেছে।
বন্ধ হলেও হিন্দ মোট কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষী আছেন। আর তাঁরাই এরকম নাম রেখেছেন তিনটি শেয়ালের। নিরাপত্তা রক্ষীরা ডাকলে সাড়াও দেয় শেয়ালগুলি। সঙ্গে সঙ্গে ঝোঁপের আড়াল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে তারা। দু' বেলা শেয়ালগুলিকে খেতে দেন তাঁরা। এমন কী, স্থানীয় লোকেরাও তাদের নাম ধরে ডাকলে তারা বেড়িয়ে আসে।
এলাকার প্রবীণ এক বাসিন্দা জানান,মাঝে মধ্যেই সকালে এস রুম্পা, ঝুম্পা, টুম্পাদের রুটি খেতে দেন তিনি। আর আদর যত্নে তেনারাও দিব্বি আছেন! এদিক ওদিক থেকে খাবার পেয়ে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে শেয়ালদের বংশবৃদ্ধি চলছে। কারখানার নিরাপত্তা রক্ষী থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা, শেয়ালদের দেখলে ভয় পান না কেউই। কারণ তারা মানুষের কোনও ক্ষতি করে না। তাই হিন্দ মোটরের পরিত্যক্ত কারখানায় এখন নিশ্চিন্তেই সহাবস্থান করছে মানুষ আর শেয়াল।