উত্তম দত্ত, হুগলি: লকডাউনের জেরে রাতারাতি কাজ হারিয়েছে। যে যেমনভাবে পেরেছেন, ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন বাড়িতে। হুগলি জেলায় দশ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য রোজগারের বন্দোবস্ত করল প্রশাসন। তাঁদের হাতে জবকার্ড তুলে দিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পাবেন সকলে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মাঝে সচল পরিবহণ, সরকারি বাস পরিষেবা চালু হুগলিতে
শখ করে নয়, পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতে হয় তাঁদের। লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কাজকর্ম বন্ধ, রোজগার নেই। হাতে যেটুকু টাকা থাকে, তা দিয়ে আর কতদিন চলবে! বাড়ি ফেরার ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তাঁদের। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য স্পেশাল ট্রেনও চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে? বরং ভোগান্তি আরও বাড়ছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমনই যে, বিভিন্ন স্টেশনে, এমনকী মাঝ-পথেও ট্রেন থামিয়ে নেমে যাচ্ছেন অনেকেই। তাতে কি! লকডাউনের কারণে কিন্তু দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন এ রাজ্যে। হুগলি জেলায় সংখ্যাটা প্রায় ৩৫ হাজার বলে জানা গিয়েছে।
কেউ ট্রেন চেপে, তো কেউ আবার গাড়ি ভাড়া করে চলে এসেছেন। দীর্ঘপথ হেঁটেই পাড়ি দিতে হয়েছে, এমন পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা তো কম নয়। কিন্তু এ রাজ্যে তাঁদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করবে কে? প্রতিটি জেলায় জবকার্ড বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি জেলায় থেকে শুরু হল সেই কাজ। বুধবার সিঙ্গুরে এক অনুষ্ঠানে পরিযায়ী শ্রমিকদের জবকার্ড করলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। বিতরণ করা হল চারাগাছও।