শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার বুকে শুরু হল বৃষ্টি। কালো হয়ে আসা মেঘের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় বেশ কিছু এলাকায়। শুরু হয়ে যায় প্রহর গোনা। হাতে মাত্র আর কেয়কটা ঘন্টা, তারপরই রাজ্যের সীমানায় ঢুকে পড়বে ফণী। এদিন সকাল থেকেই ফণীর কবলে পরে লণ্ডভণ্ড ওড়িশ্যা। দীর্ঘ চার ঘন্টা ওড়িশ্যার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার সন্ধে নাগাত রাজ্যে হানা দেবে ফণী। আর মধ্যরাতে কলকাতার ওপর অবস্থান করবে এই ঘূর্ণিঝড়।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অধিকর্তা জি.কে. দাস জানান, স্থলভাগের ওপর দিয়ে বইবার সুবাদে ক্রমেই দুর্বল হবে ফণী। সকাল থেকেই হালকা মাঝারী বৃষ্টি পাত শুরু হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বিকেল থেকে হাওয়ার গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। মধ্য রাতে থেকে ভোরের মধ্যেই কলকাতায় ঢুকবে ফণী। গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৬৫ থেকে ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে।
আয়লার বিদ্ধংসী রুপের স্মৃতিকে তরতাজা করে দিয়ে সকল থেকেই তাণ্ডব চালাচ্ছে ফণী। এখনও পর্যন্ত ঘন্টায় সর্বাধিক গতিবেগ ছিল ২১০ কিলোমিটার। তবে কলকাতার বুকে ফণীর গতিবেগ থাকবে কম, কিন্তু বিপত্তির আশঙ্কা অন্য জায়গায়। কলকাতার ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগের কালবৈশাখীর সাক্ষী থেকেছে বহুবার। কিন্তু তার সময়সীমা ছিল মাত্র কয়েকমিনিট। ফণীর ক্ষেত্রে গতিবেগ কম হলেও তার স্থায়িত্ব নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সকলের কপালে। প্রায় চার ঘন্টা ধরে এই গতিবেগে ঝড় বইলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ঠিক কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে কলকাতার বুকেঃ