তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী।
২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের গোটা প্যানেল বাতিল করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের এই রায়ের পরই তার সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরে সুর মিলিয়ে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের রায় বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন মমতা। এই নিয়ে চর্চার মাঝেই দেশ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট তুলে দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। অভিষেক আরও বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বিজেপি প্রভাবিত।
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। প্রসঙ্গত আগেই বিচারব্যবস্থার প্ৰতি ‘অবমাননার’ মন্তব্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। পাশাপাশি আলাদা করে আবেদন করেছিলেন অনিন্দ্য সুন্দর দাস এবং কৌস্তভ বাগচী। এই তিনটি আবেদনের ভিত্তিতে মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আর্জি তুললেও আদালত সূত্রে খবর, সোমবার আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর করা ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, এই বিষয়ে আগেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করেছেন। আইনজীবী চাইলে সেই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টি যুক্ত করতে আবেদন জানাতে পারেন।
পৃথক ভাবে এই বিষয়ে কোনও মামলা গ্রহণ করা হবে না বলেই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রদান বিচারপতি। একইভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কৌস্তভ বাগচী। তবে এই বিষয়ে আদালত সেভাবে সাড়া দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।