জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে আরজি কর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ পদত্যাগ করেন। এর পরেই কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকদের সম্মিলিত পদত্যাগের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়রদের দাবি পূরণ না হলে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকরাও।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতির বার্তা পাঠাতে সিনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে গণ পদত্যাগের আহ্বান আরজি করের বাইরেও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। প্রথমে আরজি কর দিয়ে শুরু। পরে তা কলকাতা মেডিকেলেও ছড়িয়ে পড়ে। ধর্মতলায় অনশনকারীদের পাশে প্রতীকী অনশনে বসে থাকতে দেখা গেছে সিনিয়র চিকিৎসকদেরও। অনেক সিনিয়র চিকিৎসক ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়েছেন, কেউ ১২ ঘন্টা, কেউ ২৪ ঘন্টা।
১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-এর সাতজন প্রতিনিধি। গত শনিবার থেকে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম ছয়জন অনশনে বসেন। পরে আরজি কর-এর জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোও অনশনে যোগ দেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবির প্রতি শুরু থেকেই সমর্থন দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের সময় তিনি রোগীদের চাপ সামলাতেন। প্রয়োজন অনুযায়ী ওভারটাইম কাজ করেছেন। সিনিয়রদের পরামর্শে, জুনিয়ররা ধর্মঘট প্রত্যাহার এবং আন্দোলনের অন্যান্য পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছেন। তারা ধর্মঘট থেকে ফিরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তবে অনশনে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।'' জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত বলেও জানিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের অবনতিকে সংবেদনশীলভাবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। বুধবারের মধ্যে সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় না ডাকলে গণ পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকরাও।