Cal HC on Central Force: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা। কোথাও জমায়েত, কোথাও বিক্ষোভ— পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করায় এবার শান্তি রক্ষায় এই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলো আদালত। জানুন আরও…
Cal HC on Central Force: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা। কোথাও জমায়েত, কোথাও বিক্ষোভ পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করায় এবার শান্তি রক্ষায় এই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট (Cal HC on Central Force)।
শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আপাতত শুধু মুর্শিদাবাদ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে রাজ্যের অন্য জায়গায় অশান্তি হলে সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী যাবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাহায্যের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, আইন-শৃঙ্খলা, শান্তি বজায় রাখতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুর্শিদাবাদে সিএপিএফ কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্যের অন্যত্র যদি অশান্তি হয় সেখানেও বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বাহিনীকে রাজ্যকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। কোথায় কত বাহিনী ও পুলিশ থাকবে তা দুই নোডাল অফিসার এডিজি আইন-শৃঙ্খলা ও এডিজি সিআইএসএফ যৌথভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ১৭ তারিখ পৃথকভাবে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রকে। শনিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন,''৬ কোম্পানি বিএসএফ, ১০০০ পুলিশ, এডিজি, ডিআইজিরা রয়েছে। ১৩১ গ্ৰেফতার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন নেই। এক নম্বর পিটিশনার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দুই নম্বর পিটিশনার আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাই এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পরিস্থিতি হলে সেটা পুলিশের দায়িত্ব। যাদবপুরে পুলিশকে পেটানো হয়েছে। ডিজিপি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারি সব মামলায় আর্টিকেল ৩৫৫ করতে চায়। যদি এই পরিস্থিতিতে প্যারা মিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করা হলে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এটা করেছেন মামলাকারীরা।''
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার পাল্টা বলেন,''গ্ৰন্থাগার মন্ত্রী সভা থেকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন প্রতিদিন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হবে। প্রতিদিন শহরের ১০ জায়গায় ১০ হাজার লোকের জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজারহাট-নিউটাউন-জোকা-আমতলা সর্বত্র অশান্তি ছড়িয়েছে। ধর্মীয় অশান্তিতে উষ্কানি। এপি সন্টার মুর্শিদাবাদ। সামসেরগঞ্জের অবস্থা ভয়াবহ। ভাঙচুর, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট। খুন। ডিএম এর অনুরোধে বিএসএফ টহলদারি শুরু হয়েছে। পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। জোকা থেকে রাজারহাট।
শুধু তাই নয়, এদিন দ্বিতীয় পর্বের শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী আদালতে জানান, আভ্যন্তরীণ অশান্তিতে সীমান্তবর্তী এলাকা খুবই স্পর্শকাতর। রাজ্যের কোনও ভয়াবহ ঘটনায় বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে কেন্দ্রর দায়িত্ব সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করতেই পারে। ফারাক্কায় ধূলিয়ান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পুলিশ সামাল দিতে ব্যর্থ। ৩৫৫- ধারা অনুযায়ী রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিতেও সমস্যা হলে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে। নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন আদালত নির্দেশ দেয়, , আইন-শৃঙ্খলা, শান্তি বজায় রাখতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুর্শিদাবাদে সিএপিএফ কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্যের অন্যত্র যদি অশান্তি হয় সেখানেও বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।