ইডির হাতে উদ্ধার হল কয়েক কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাটির সদর দফতর দুবাইতে। এরপর সেখান থেকেই প্রতারণার জাল বিছিয়ে দেওয়া হয় ভারতের একাধিক বড় শহরে।
ফের শহর থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। 'মহাদেব অ্যাপ' নামক একটি বেটিং সংস্থাকে নিয়ে তদন্তে নেমে কলকাতা, ভোপাল এবং মুম্বইয়ে তল্লাশি চালিয়েছিল ED। আর এই তিন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৪১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কয়েক কোটি টাকা। সেই ঘটনা এখনও কেউ ভোলেননি। তারই মধ্যে ইডির হাতে উদ্ধার হল কয়েক কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাটির সদর দফতর দুবাইতে। এরপর সেখান থেকেই প্রতারণার জাল বিছিয়ে দেওয়া হয় ভারতের একাধিক বড় শহরে। তদন্তে নেমে একসঙ্গে কলকাতা, ভোপাল এবং মুম্বইতে তল্লাশি চালায় ED। আর এরপরেই সমস্ত জায়গা থেকে মোট ৪১৭ কোটি নগদ উদ্ধার হয়। শুধু নগদ নয়, উদ্ধার হয়েছে সোনার বাটও।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে ইডির আধিকারিকদের তৎপরতা ছিল। এর আগে এতো টাকা শহরে উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত সংস্থার সদর দফতর দুবাইয়ে বলে জানা গিয়েছে। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন সেখানকার একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ত। তবে সেই অ্যাকাউন্ট গুলি ভুয়ো ছিল বলে দাবি ইডির। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগও করেছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন বিষয়ে বেটিংয়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা জেতানোর প্রলোভন দেওয়া হতো। এর মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কাছে টাকা তুলে প্রতারণা করত ওই সংস্থা। একাধিক বড় বড় শহরে কাজ করত তারা। শুধু ৪১৭ কোটি টাকাই উদ্ধার করেননি তদন্তকারীরা সেখান থেকে বিপুল পরিমান সোনার বাট এবং গয়নাও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।