দশমীর সকাল থেকেই কলকাতা, গ্রাম থেকে মফস্বলের বাড়ির কর্তাদের লাইন পড়ে পাড়ার মিষ্টির দোকানে। দশমীতে বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ‘বিজয়ার মিষ্টি। একে অপরকে মিষ্টিমুখে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। রইল বাঙালির সেরা ১০টি মিষ্টির তালিকা।
Parna Sengupta | Published : Oct 13, 2024 5:42 AM IST / Updated: Oct 13 2024, 11:14 AM IST
আপনি যদি বাঙালি হয়ে থাকেন, তাহলে রসগোল্লার প্রেমী হবেন না এমনটা হতেই পারে না। কারণ এটি এমন একটি খাবার, যার নাম শুনলেই জিভে জল আসে। সবথেকে মিষ্টি সুস্বাদু বাঙালি খাবারের কথা বললেই তালিকার ওপরে থাকবে রসগোল্লা।
শুধু বাঙালি বললে ভুল, এখন মালপোয়া হল ভারতীয় রসনার অন্যতম সেরা মিষ্টি। সঙ্গে যদি রাবড়ি থাকে তো কোনও কথাই নেই। মালপোয়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই দেখতেও দারুন।
ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টি ছোট ছোট আকারে বুন্দিয়ার আদলে তৈরি রঙ-বেরঙের এই অসাধারণ মিষ্টিটি ভোজনরসিকদের মন জয় করে নিয়েছিল অনায়াসে। বেসন, ঘি, চিনি, জাফরন, ও চাল দিয়ে তৈরি মিহিদানা বিশ্ববিখ্যাত।
মিষ্টির মধ্যে পান্তুয়া অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। নরম তুলতুলে পান্তুয়া খেতে কার না ভাল লাগে। তবে গোলাপজামের থেকে অনেকটাই আলাদা বাঙালির এই প্রিয় মিষ্টি।
খাদ্য প্রিয় বাঙালির কাছে অত্যন্ত প্রিয় মিষ্টি সন্দেশ ৷ বাঙালির আনন্দে উৎসবে বা বিভিন্ন শুভ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই প্রিয় মিষ্টিটি ৷ আর বিজয়ার মিষ্টিমুখের অন্যতম প্রিয় পদ হল সন্দেশ।
শেষ পাতে ডেজার্ট বলতে বাঙালিদের একটা বড়ো অংশ আজও মিষ্টি দই বোঝে। মিষ্টি দই খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। উৎসব পার্বণে, ভুরিভোজ থেকে রোজকার খাদ্যতালিকা, খাবার শেষে পাতে দই মিষ্টি রাখেন অনেকেই।
বিজয়ার মিষ্টি বলতেই ক্ষীরকদমের নাম করবেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। অসম্ভব সুস্বাদু এই মিষ্টি বাঙালির নয়নের মণি।
এটি রসগোল্লার মতই। এতে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকে ভরপুর কারণ এটি পনির থেকে তৈরি হয়। চিনির সিরাপের বদলে আপনি খেজুরের সিরাপ ব্যবহার করে তাতে ভেজাতে পারেন চমচম। তাতে এটি অনেকটাই স্বাস্থ্যকর হবে।
ল্যাংচা বলতেই মনে পড়ে শক্তিগড়, আর শক্তিগড় বলতেই মনে আসে ল্যাংচার কথা। মিষ্টিপ্রেমী বাঙালির ভাঁড়ারে মিষ্টির কমতি নেই, রসগোলা, কলাকন্দ, সন্দেশ, নাড়ু থেকে শুরু করে হালফিলের চকলেট মিষ্টি- বাঙালিকে বুঝতে হলে বাংলার মিষ্টিকে জানতেই হবে।
আধুনিক কলকাতায় রসগোল্লায় এসেছে ফিউশনেরও ছোঁয়া। তাই শেষ পাতের মিষ্টিকে খানিক বদলে দিয়েছেন কারিগররা। রসগোল্লার সঙ্গে বেকড রসগোল্লাকেও করে তুলেছেন জনপ্রিয়।