তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন রাজন্যা হালদার। কিন্তু আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে 'ভুল' পদক্ষেপের জন্য বিপাকে পড়ে গেলেন রাজন্যা।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ঝাঁঝালো বক্তব্যের মাধ্যমে উত্থান। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে ছবির মাধ্যমে পতন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদারের উত্থান যে গতিতে, পতন হল তার চেয়েও বেশি গতিতে। শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি পদ থেকে প্রান্তিক চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভানেত্রী পদ থেকে রাজন্যা হালদারকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। দল-বিরোধী কাজের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের সম্পর্কে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন বহাল থাকছে।’
ছবি নিয়ে বিপাকে প্রান্তিক-রাজন্যা
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প’ প্রযোজনা করেছেন প্রান্তিক। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন রাজন্যা। দুর্গাপুজোর মুখেও যখন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে আন্দোলন থামছে না, তখন এই বিষয়ে ছবি নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই কারণেই রাজন্যা ও প্রান্তিককে সাসপেন্ড করা হল। একইসঙ্গে দলের বাকিদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হল।
দলীয় নেতৃত্বের আস্থা হারিয়েছেন রাজন্যা?
২০২৩ সালের ২১ জুলাই রাজন্যার বক্তৃতা নজর কেড়ে নেয়। রাজ্য রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। স্লোগান চুরির অভিযোগ আনে গেরুয়া শিবির। তবে এই অভিযোগকে আমল দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। রাজন্যাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁকে দলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও আনা হয়। কিন্তু এবার রাজন্যার মাথার উপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আশীর্বাদের হাত সরে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পরবর্তী রাজ্য সভানেত্রী রাজন্যা হালদার? তুঙ্গে জল্পনা