লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে বাংলার মহিলাদের হাতে কিছু অর্থ সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বসয়ী মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এবার এই নিয়ে দারুণ উদ্যোগ নিলেন মমতা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পের অধীন সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। রাজ্যের বহু মহিলা বর্তমানে এই স্কিমের সুবিধা পাচ্ছেন।
রাজ্যের সুপারহিট প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) মাধ্যমে প্রতি মাসের আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয় বাংলার মহিলাদের ঘরে ঘরে।
প্রতি মাসের শুরুতেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় ভাতার টাকা। নভেম্বর মাস শেষ হয়ে ডিসেম্বর শুরু হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকদের বয়স ৬০ বছর বয়স হলে তারা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেতে শুরু করেন। অর্থাৎ এর জন্য আলাদা করে আর কোনো আবেদন করতে হয় না।
বার্ধক্য ভাতার আওতায় মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এবার এই মহিলাদের জন্য এবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পথে নবান্ন।
নবান্ন সূত্রে খবর, যে সকল মহিলারা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পেতে পেতে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবেন, তাদের ক্ষেত্রে এবার থেকে আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মহিলা উপকৃত হতে চলেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরই এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বাড়ানোর এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
সূত্রের আরও ৫০ হাজার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।