দেখতে দেখতে ৪০ দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু আন্দোলন থামেনি জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। তারা এখনও রাস্তায় রয়েছেন এবং চলছে কর্মবিরতি। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব সব অংশের মানুষই। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরাও।
দেখতে দেখতে ৪০ দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু আন্দোলন থামেনি জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। তারা এখনও রাস্তায় রয়েছেন এবং চলছে কর্মবিরতি। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব সব অংশের মানুষই। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরাও।
আর এবার কাজে ফিরতে চেয়ে আরও কয়েক দফা দাবি জুড়লেন আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, আন্দোলনের ৪০তম দিনে জুনিয়র ডাক্তাররা আরও কয়েক দফা দাবি জানিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের ইমেইল করলেন।
দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অপসারণ এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কারণ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্ত দাবি মানা হয়নি বলেই অভিযোগ তাদের। স্বাস্থ্যসচিবকে এখনও সরানো হয়নি। চতুর্থ এবং পঞ্চম দফা দাবি মানা ঘিরেও রীতিমতো ধোঁয়াশা রয়েছে।
একইসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিটি কলেজে দ্রুত ছাত্র নির্বাচন করে ছাত্র সংসদ গঠনের দাবিও তুলেছেন। কারণ, দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে কোনও ছাত্র সংসদ নির্বাচনই হয়না। স্বভাবতই, ছাত্রছাত্রীদের দাবি নিয়ে পরিচালন সমিতির কাছে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ। তাই তারা এই দাবি তুলছেন।
সেইসঙ্গে, তারা সরব হয়েছেন প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন, জুনিয়র এবং রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনকে মান্যতা দেওয়ার দাবি নিয়েও।
এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে একটি ইমেইলও করেছেন তারা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। প্রসঙ্গত, এই দাবিগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।
মঙ্গলবার, গভীর রাতে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, আরও আলোচনা চান তারা। যতদিন না সেই আলোচনা হচ্ছে, অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। অর্থাৎ, জারি থাকবে কর্মবিরতি। তবে সিনিয়র চিকিৎসকরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসপাতালে সার্ভিস চালিয়ে যাচ্ছেন। কার্যত্, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাও আন্দোলনে শামিল হয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।