শহর জুড়ে পয়লা বৈশাখের উদযাপনের মাঝে এস বি পার্কের এই খুঁটি পুজো নতুন করে আলো যোগ করেছে। ঢাক বাজিয়ে, নাচে গানে মেতে উঠলেন সকলে।
পয়লা বৈশাখের দিনই পুজোর বাদ্যি বাজল শহরে। বছরের প্রথমদিনই শারদীয়া অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করল ঠাকুরপুকুরের স্টেট ব্যাঙ্ক পার্কের পুজো। ১৫ এপ্রিল, শনিবারই খুঁটি পুজো সারল এস বি পার্ক সার্বজনীন। এই পুজো মূলত নিজেদের অভিনব শৈলীর মণ্ডপের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া এনআইপি এনজিও-এর বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয় এদিন। উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বও। এই তালিকায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি মালা রায়, সাংসদ দিলীপ মণ্ডল রাজ্য পরিবহন দফতর মন্ত্রী, শিল্পী বিমল কুন্ডু, চিত্রশিল্পী নবনীতা দত্ত। এছাড়া ছিলেন টলিউড অভিনেত্রী মধুছন্দা সেন, মায়া আর্ট স্পেসের মালিক-সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।
শহর জুড়ে পয়লা বৈশাখের উদযাপনের মাঝে এস বি পার্কের এই খুঁটি পুজো নতুন করে আলো যোগ করেছে। ঢাক বাজিয়ে, নাচে গানে মেতে উঠলেন সকলে। এই বছরই ৫৩ তম বছরে পড়ল ঠাকুরপুকুরের স্টেট ব্যাঙ্ক পার্কের এই পুজো। ঐশ্বর্য ও সৃজনশীলতাকে সঙ্গী করেই ৫৩ বছরের এই পথ এই চলা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্লাবের সভাপতি সঞ্জয় মজুমদার বলেন,'বছরের পর বছর আমরা বিশাল সাফল্য পেয়ে এসেছি। আমরা বিভিন্ন বিভাগ থেকে একাধিক পুরস্কার পেয়ে আসছি। এবারও স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক সার্বজনীনের গোটা টিম নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। এর আগের বছর গুলোতেও লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী এসেছেন, এবারেও সেরকমই আশা করছি।
অন্যদিকে নতুন বছরে রাজপথে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সাক্ষী থাকল কলকাতা। বৈশাখের প্রথম দিনেই প্রভাত ফেরির আয়োজন করল বৈশাখী উৎসব কমিটি। ১৫ এপ্রিল গড়িয়া মোড় থেকে বেরোয় প্রভাত ফেরি। নাকতলা পর্যন্ত চলে শোভাযাত্রা। গানের সুরে ছন্দে বর্ষবরণ করলেন শহরবাসী। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জাঁকজমকে এতটুকু খামতি রাখল না বাঙালি। তবে শুধু বৈশাখী উৎসব কমিটিই নয় পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন পথ চলতি সাধারণ মানুষেরাও। এমনকি অংশগ্রহন করেছিলেন খুদেরাও। সমস্ত জরা ব্যাধি কাটিয়ে মহা সমারোহে ১৪৩০ কে বরণ করে নিল কলকাতাবাসী।
নববর্ষের সকালে কলকাতার রাজপথে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বৈশাখী উৎসব কমিটির উদ্যোগে এই বিশেষ শোভাযাত্রা। শুধু গান নয় শোভাযাত্রায় ছিল আঞ্চলিক মুখোশ , বাংলার পালকি , পটচিত্র দিয়ে সাজানো ছিল যাত্রাপথ , ঢাকের বাদ্যি তে মাতোয়ারা হয়েছিল সকলে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল একাধিক প্রতিষ্ঠানও। এর মধ্যে নাম উঠে আসছে,নাকতলা বয়েস স্কুল, শ্রীরামকৃষ্ণ আনন্দ আশ্রম,বলাকা সংস্কৃতি অঙ্গন, আলাপন, ছায়ানট কলকাতা , সুরসঙ্গম , পথিক প্রেমী, অক্ষরকথা, সপ্তবর্ণা , শ্রুতি প্রয়াস, রিদিমিক সৌলের। এছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন বহু শিল্পী। পদযাত্রায় শিশুদের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন -
পুরনো গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত, মহানগরীর বুকে মহাসমারহে বর্ষবরণ
নববর্ষের প্রাক্কালে রাজ্যবাসীকে 'শুভনন্দন' জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিলেন অমিত শাহ