জানা যাচ্ছে বুধবার সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ কাঁকুড়গাছি রেল কেবিনের কাছে মেন লাইনের পাশে ধস নামে। লাইনের পাশে ধস নামার কারণে বুধবার সকাল থেকে বাতিল একাধিক ট্রেন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরজুড়ে। রাতভর চলেছে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির জেরে শহরের একাধিক জায়গায় জল জমেছে। শুধু তাই নয় বৃষ্টির কারণে শিয়ালদা ও বিধাননগর স্টেশনের মাঝে রেললাইনে ধস নেমেছে বলেও জানা যাচ্ছে। ফলত ওই লাইনে বাতিল একাধিক ট্রেন। জানা যাচ্ছে বুধবার সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ কাঁকুড়গাছি রেল কেবিনের কাছে মেন লাইনের পাশে ধস নামে। লাইনের পাশে ধস নামার কারণে বুধবার সকাল থেকে বাতিল একাধিক ট্রেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে রাতভর বৃষ্টিতে ধস নামে লাইনের ধারের মাটিতে। যার ফলে শিয়ালদা-নৈহাটি শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রিত শিয়ালদা থেকে দমদম পর্যন্ত সাবার্বান লাইনেও। এখনও পর্যন্ত ৫টি লোকাল বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন অন্য লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে চালানো হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এই ধস সে বিষয় উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য যে অঞ্চলে ধস নেমেছে তার কাছেই চলছে রেলের নির্মাণের কাজ। ফলত স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে বর্ষাকালে রেললাইনের ধারে অপরিকল্পিত নির্মাণের ফলেই কি ধস?
রাতভর বৃষ্টির দাপটে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতার একাধিক এলাকা। তার সঙ্গে সমগ্র শহর ও শহরতলি জুড়ে ঘন মেঘে ঢেকেছে আকাশ। কলকাতার আনাচেকানাচে জল জমে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এলাকার বাসিন্দাদের অবস্থাও সঙ্গীন। নিচু এলাকাগুলিতে অনেক বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ, উভয় প্রান্তেই বুধবার ভোররাত থেকে জলমগ্নতার ছবি। জল জমেছে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া, রুবি, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, হরিদেবপুর, বেহালা ও পাটুলির একাধিক অংশে। কোথাও এক কোমর, আবার কোথাও এক হাঁটু, জল ঠেলে ঠেলেই এগোচ্ছেন পথ চলতি জনতা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভেও বুধবার সকালে জল জমে থাকতে দেখা গেছে।