সদ্য শেষ হল রাজ্য সরকারি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। শীঘ্রই নতুন ক্লাসে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। এই সময় স্কুলে ভর্তি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এবার থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আসা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আর যত খুশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি নেওয়া যাবে না। প্রথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্দেশে বলা হয়েছে যে এবার থেকে রাজ্যের কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০০ এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০০ জন এবং প্রাক প্রাথমিকে লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫০ জনকে ভর্তি নেওয়া যাবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে একই নিয়মে ভর্তি হবে।
সরকারে এই নির্দেশে বহু স্কুল মহা সমস্যায় পড়েছে। অনেক বিদ্যালয়গুলোতে ৫ থেকে ৬ টি গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি বিদ্যালয় চলে কোনও রকমে। এবার ৫০০ জন কী করে করবেন ভেবে পাচ্ছেন না অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
গত সোমবার, রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের ২৩ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তার আগে প্রাথমিকে স্কুলগুলোতে এই সরকারি নির্দেশনামা আসায় রীতিমতো চিন্তায় শিক্ষকদের একাংশ।
এই প্রসঙ্গে সমানে এসেছে রঘুনাথগঞ্জ পূর্ব চক্রের এসআই স্বপ্নেন্দু বিশ্বাসের বক্তব্য। তিনি জানান, জেলার ৪১টি চক্রেই তিনশোর বেশি পড়ুয়া আছে বহু স্কুলেই। ৬০০ থেকে ৮০০ পড়ুয়া সংখ্যার স্কুলও কম নেই। দুটো শিফট করা যাবে।