RG Kar: কার নির্দেশে আরজি করের মৃতার দেহ দ্রুত দাহ? সিবিআই-এর হাতে বিস্ফোরক তথ্য
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে নির্যাতিতার দ্রুত শেষকৃত্য নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। দেহ দাহ নিয়ে প্রভাবশালীদের তৎপরতার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে নির্যাতিতার শেষকৃত্য নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত দেহ দাহ করার জন্য তৎপর ছিলেন প্রভাবশালী। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ শ্মশান খরচের টাকা পর্যন্ত তাঁদের দিতে হয়নি। দুটি দেহ টোপতে তাঁদের মেয়ের দেহ দাহ করা হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালীরাও তৎপর ছিলেন বলে অভিযোগ।
কিন্তু কারা এই প্রভাবশালীরা
নির্যাতিতার পরিবার ও ঘনিষ্টদের কথা শোনার পরই সিবিআই শেষকৃত্য কীভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলেও সূত্রের খবর। কেন দ্রুত দেহ দাহ করার হল, কেন দ্বিতীয়বার পোস্টমর্টেম করার জন্য দেহ রাখা হল না - তাও খতিয়ে দেখছে।
দ্বিতীয়বার পোস্টমর্টেম করার দাবী
নির্যাতিতার মা বলেছেন, তাঁদের খেয়াল ছিল না দ্বিতীয় পোস্টমর্টেম করার কথার দাবি জানাতে। তবে তারা মৃতদেহ আরও কিছুক্ষণ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের অতিসক্রিয়তা আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের তৎপরতার কথা নির্যাতিতার পরিবারও জানিয়েছে।
নতুন তত্ত্ব
সিবিআই সূত্রের খবর দ্বিতীয় বার যাতে নির্যাতিতার দেহ পোস্টমর্টেম না হয় তার জন্য এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি অত্যাধিক তৎপর ছিলেন। দেহ বার থেকে থেকে দাহ করা পর্যন্ত তাঁর ভূমিকাই ছিল মুখ্য।
সিবিআই স্ক্যানারে আরও যারা
এলাকার প্রভাবশালী ছাড়াও দেহ দ্রুত দাহ করা নিয়ে তৎপর ছিলেন এলাকার এক বিধায়ক, সাংসদও। তারাও বর্তমানে সিবিআই স্ক্যানারে। তেমনই বলছে একটি সূত্র।
মোবাইল ফোন ধরে ট্র্যাক
সিবিআই সূত্রের খবর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই বিধায়ক, সাংসদ, এলাকার প্রভাবশালীদের কথা জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। যাদের ফোন লোকেশন শেষকৃত্যের দিন ছিল নির্যাতিতার বাড়ি বা শ্মশানের আশপাশে।
কারা কারা তৎপর
সিবিআই সূত্রের খবর নির্যাতিতার বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে শেষকৃত্যের সময়ের প্রকৃত ঘটনা। কারা ছিলেন, তাদের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছে কিনা- সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল ফোন নম্বর বিশ্লেষণ
সিবিআই সূত্রের খবর যারা যারা সেদিন উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাড়ি ও শ্মশানে- তাদের মোবাইন ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে।
বিকেল ৪টের পরই তৎপর
সিবিআই সূত্রের খবর ৯ অগাস্ট বিকেল ৪টে থেকেই সাংসদ বিধায়কদের তৎপরতা তাদের মোবাইল ফোনে লক্ষ্য করেছেন। সূত্রের খবর। বিকেল ৪টের সময়ই বিধায়কের মোবাইলে আসে এক সাংসদের ফোন।
বিধায়কের ফোনের গতিবিধি
সিবিআই সূত্রের খবর, বিধায়ক গোটা সময়টা নির্যাতিতার বাড়ি ও শ্মশানের আশপাশে উপস্থিত ছিলেন। বিধায়কই এক কাউন্সিলর ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ফোন করেন। শেষকৃত্য হওয়ার পরই তিনি এলাকা ছাড়েন।