আরজি কর-কাণ্ডে ঘুম উড়ছে বিনীত গোয়েলের! কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রে বক্তব্যে বল রাজ্যের কোর্টে
আরজি কর -কাণ্ডে বিনীত গোয়েলের ওপর আরও চাপ বাড়ল। কেন্দ্র কলকাতা হাইকোর্টে বিনীত গোয়েল সম্পর্কে যা জানিয়েছে তাতে কলকাতার প্রাক্তন নগরপালের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল।
Saborni Mitra | Published : Nov 21, 2024 11:00 AM IST
বিনীত গোয়েল
আরজি কর কাণ্ডের সময় কলকাতার নগরপাল ছিলেন বিনীত গোয়েল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি ঘটনার পর তিনি গিয়েছিলেন।
আরজি কর কাণ্ড
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে ৯ আগস্ট উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সেই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল কলকাতা পুলিশ।
বিনীত গোয়েলের অপসারণ
আরজি কর কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সহ নাগরিকদের আন্দোলনের জেরে বিনীত গোয়েলকে কলকাতার নগরপালের পদ থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমান দায়িত্ব
বর্তমানে বিনীত গোয়েলকে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ-এর এডিজি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
বিনীতের বিরুদ্ধে মামলা
আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন বিনীত কুমার গোয়েল। সেই কারণেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধ।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন
আরজি করের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করায় বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । সেই মামলায় কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল ট্রেনিংয়ের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, আইপিএস-দের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে কোনও পদক্ষেপ কে নিতে পারে ?
কেন্দ্রের উত্তর
কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে যদি শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের কোনও ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে সেটা আইন অনুযায়ী রাজ্যই নিতে পারে। কলকতাতা হাইকোর্টে এদিন সওয়াল করেন কেন্দ্রের অ্যাডিশনার সলিসিটার অশোক চক্রবর্তী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জবাব
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, আইপিএস-রা রাজ্যে কর্মরত। তাদের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ রাজ্যই করতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা যদি নিতেই হয় তাহলে সেটা রাজ্যই নিতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজ্য যদি কোনও পদক্ষেপ না করে বা রাজ্যের পদক্ষেপে কেন্দ্র যদি সন্তষ্ট না-হয়, তবে তারা আপিল করতে পারে । আপাতত এই মামলায় মামলাকারীকে ফের রাজ্য-সহ অন্যান্য সব পক্ষকে মামলার কপি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । আগামী ২৩ ডিসেম্বর ফের মামলার শুনানি ।
ক্রমশই চাপে বিনীত
আরজি কর কাণ্ডের প্রথম থেকেই চাপ বাড়ছিল বিনীতের ওপর। প্রথমেই তাঁকে সরানোর দাবি উঠেছিল। দ্বিতীয়তে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের প্রধান থাকার সময়ই জুনিয়ার ডাক্তাররা পুলিশের শিড়দাঁড়া নেই বলে অভিযোগ তুলে লালবাজার ঘেরাও করেছিল। বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করে শিরদাঁড়া দিয়ে এসেছিল।