আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে শনির পর বরিবারও বড় কর্মসূচি, জুনিয়ররা আলোচনায় ডাকলেন সিনিয়রদের
আরজি কর আন্দোলন এবার কোনও পথে মোড় নেবে? স্থির করতে জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় বসতে চাইলেন সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। অন্যদিকে শনিবারের পর রবিবারও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করলেন ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে।
Saborni Mitra | Published : Oct 18, 2024 11:54 AM IST
আরজি কর আন্দোলন
৯ আগস্ট আরজি করের তরুণী চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর কেটে গেছে প্রায় দুই মাস। হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন আন্দোলনও ১৪ দিনে পা রেখেছে।
আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে
এই অবস্থায় আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াতে আরও কড়া প্রতিবাদ আন্দোলন চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
আন্দোলনের ১৪ দিন
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন জ ১৪ দিনে পড়েছে। বর্তমানে অনশন মঞ্চে রয়েছেন ৮ জন। ৫ জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয় হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন একজন।
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা
শুক্রবার ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকে অনশনকরী জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। অনশনকরী সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা বলেন, তাঁরা গত ১৩ দিন ধরে শুধু জল খেয়ে রয়েছেন ওআরএস বা গ্লুকোজও খাচ্ছেন না। কথা বলতে তাঁদের কষ্ট হচ্ছে। 'মুখ্যমন্ত্রী কি একবারের জন্যও মাদের কথা ভাবছেন না? আমরা দেখলাম তিনি দুর্গপুজোয় মেতে রয়েছেন। কোথায় গেল ওঁর মাতৃসত্তা! আমদের এখানে তো উনি একবারের জন্যও এলেন না! আমাদের ১০ দফ দাবিতে স্বাক্ষর করে দিতে ১০ মিনিট সময় লাগে। কেন উনি এত নিষ্ঠুর?'
ধর্মতলায় সাধরণ মানুষের ভিড়
অনশনকারীদের পক্ষ তেকে বলা হয়েছে ধর্মতলায় সাধারণ মানুষের ভিড় রয়েছে। জনতা তাদের আশীর্বাদ করছেন। জনতার সাড়াই এখন তাঁদের ভরসা। মুখ্যমন্ত্রী কবে সাড়া দেবেন সেই আশায় বসে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
শনিবার কর্মসূচি
জুনিয়র ডাক্তাররা শনিবার, আগামিকাল সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায়যাত্রার ডাক দিয়েছে। অনশনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিত সাধারণ মানুষ তাঁদের ডাকে সাড়া দেবেন।
রবিবারের কর্মসূচি
অনশনকরীরা রবিবারও বড় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। অনশনাকারী সায়ন্তনীরা রবিবার ধর্মতলায় সাধারণ মানুষকে জমায়েত হতে আহ্বান জানিয়েছেন। সায়ন্তনী বলেছেন, 'আমাদের পাশে দাঁড়ান। মঞ্চের সামনে আসুন রবিবার। আমাদের মনোবল দিন। মাদের শরীর ক্রমশই ভাঙছে। আমাদের কণ্ঠ ক্ষীণ। আপানাদের কণ্ঠেই আমরা শক্তি পাব। '
টার্গেট মুখ্যমন্ত্রী
অনশনকারীরা আরও বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ১০ মিনিটের জন্য আমরা ১৩ দিন এখানে না খেয়ে বসে আছি। আপনারা এসে দেখান, আমাদের সব দাবি ন্যায্য। আমাদের মনোবল এত সহজে ভাঙবে না। তবে আমরা ক্ষুব্ধ। খিদের জ্বালায় নয়। বিচারের দাবিতে। আমাদের মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। মানুষ আমাদের পাশে আছে। যাঁর পাশে থাকার কথা, তিনি নেই।
সিনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান
জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন কোন পথে এবার যাবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য সিনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট বলেছে, 'আমাদের ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকার কথা বলছে না। আমরা জরুরিভিত্তিতে অফলাইন মাধ্য়মে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল। আপনাদের সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি। দাবি আদায়ের জন্য আমরা সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা একত্রে কী নতুন পদক্ষেপ করতে পরে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক।'
আজ বৈঠক
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জেনরেল লেকটার থিয়েটারের বৈঠকে হবে। জুনিয়র ডাক্তাররা প্রত্যেক চিকিৎসক সংগঠন থেকে অন্তত দুইজন সদস্য পাঠাতে অনুরোধ করেছেন।