আরজি কর-কাণ্ড গত ৯ আগস্ট। আজ ৬ ডিসেম্বর। মাঝখানে কেটে গেছে ৪ মাস। কিন্তু এখনও অধরা বিচার। সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই মেয়ের বিচারের দাবিতে সরব হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অভিভাবকরা।
থে হাঁটলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা একটি পেজ খুলেছেন। ফেসবুকে সেই নতুন পেজ থেকে একটি ভিডিও বার্তাও পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁরা নতুন করে আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা যে ফেসবুক খুলেছেন তাঁর নাম 'ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস: ভয়েস অফ আরজি কর ভিক্টিম'। ভূমিকায় তাঁরা লিখেছেন, তাঁরা তাদের মেয়ের বিচারের জন্য লড়াই করছেন। সত্য জানতেই এই লড়াই তাঁদের। তাদের আরও দাবি, কোনও পরিবার যাতে এইভাবে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করার জন্যই তাদের সঙ্গে থাকা আহ্বানও জানান হয়েছে।
আরজি কর-কাণ্ড গত ৯ আগস্ট। আজ ৬ ডিসেম্বর। মাঝখানে কেটে গেছে ৪ মাস। কিন্তু এখনও অধরা বিচার। সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই মেয়ের বিচারের দাবিতে সরব হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অভিভাবকরা। তাঁর লিখেছেন, 'আমাদের মেয়ের জন্য বিচার চেয়ে, সত্য জানতে চেয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আর কোনও পরিবার যাতে এভাবে কষ্ট না পায় তার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।' ওই পেজেই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে। সেখানে বলেছেন, চার মাস হয়ে গেল, 'আমাদের মেয়ের সঙ্গে গত ৯ আগস্ট রাতে কী হয়েছিল এখনও আমরা জানি না। প্রথমে কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করেছিল। ওদের তদন্তে আস্থা ছিল না। তাই আমরা হাই কোর্টে অন্য এজেন্সির তদন্তের জন্য আবেদন জানাই। এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু তার পরেও চার মাসে কিছু জানা গেল না। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন।' নির্যাতিতার বাবা ও মা জানিয়েছে, তাঁরা যথেষ্ট যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন। তাঁরা আরও বলেছেন তাদের মেয়ে পড়ুশুনা থেকে সব কিছুই নিজের দমে করেছিল। কিন্তু মেয়েটির অকাল মৃত্যুতে তাদেরও সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
তাদের ওই লড়াইতে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য তারা গোটা দেশের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে তারা আরও জানিয়েছেন, 'সিবিআইয়ের উপর তো ভরসা রাখতেই হচ্ছে, ভরসা না রেখে কী করব? কোথায় যাব আমরা?' তাঁরা আরও জানিয়েছেন, হারানো কন্যার স্মৃতি হিসেবে এই ফেসবুক পেড রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই তাদের শেষ ভরসা সেটাও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।