দেড় মাসে তিন শিশুর মৃত্যু, কলকাতায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নয়া অ্যাডিনো ভাইরাস

সোয়াইন ফ্লু বা অন্যান্য ভাইরাল ফিভারের মতোই একটি ভাইরাস সংক্রমণ এটি। উপসর্গও প্রায় একই। তবে পার্থক্য, এখনও কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই এই অ্যাডিনোভাইরাসের।

সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ, প্রাথমিক ভাবে এমনই লক্ষ্মণ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে ভুল করে ফেলছেন। এই কলকাতা মেডিক্যালে দেড় মাসে ৩জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়ার বদল থেকে ইমিউনিটির সমস্যাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে কলকাতা জুড়ে বেলাগাম সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। শিশু হাসপাতালে আইসিইউয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আইসিইউয়ে বেডের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উপচে পড়ছে জেনারেল বেড।

কী এই অ্যাডিনো ভাইরাস?

Latest Videos

সোয়াইন ফ্লু বা অন্যান্য ভাইরাল ফিভারের মতোই একটি ভাইরাস সংক্রমণ এটি। উপসর্গও প্রায় একই। তবে পার্থক্য, এখনও কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই এই অ্যাডিনোভাইরাসের। চিকিৎসা বলতে শুধুই সাপোর্টিভ কেয়ার।

উপসর্গ: শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেই থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডাইরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে রোগীর। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত। চরম পরিণতি ফুসফুসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু।

ঝুঁকিতে কারা: এক্সট্রিম এজগ্রুপ অর্থাৎ শিশু (১ মাস-৩ বছর) এবং বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি, কারণ এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। স্কুল, খেলার মাঠ, সুইমিংপুলে অন্য কোনও বাচ্চার হাঁচি-কাশি থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর বেড়েছে। তা থেকে হচ্ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এক থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে আইসিইউতে। শহরের বড় বড় শিশু হাসপাতালে ভর্তি আইসিইউ বেড। এই ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও ওষুধ নেই। এই পরিস্থিতি এর আগে হয় ২০১৮ সালে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা ভর্তি হয়েছে প্রায় প্রত্যেকেরই নিউমোনিয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আবার বেশিরভাগেরই ভাইরাল নিউমোনিয়া। অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর আগে ২০১৮-১৯ সালে এই ভাইরাসের দাপট দেখা গিয়েছিল। কোভিডের জন্য দুবছর শিশুরা বাড়িতেই ছিল। ফলে এই বয়সে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা তা হয়নি।

চিকিৎসা কী: পিসিআর (polymerase chain reaction) টেস্ট করে অ্যাডিনোভাইরাস চিহ্নিত করা গেলেও এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুদীপ মাইতি এবং ডাঃ প্রভাস প্রসূন গিরি বলছেন, উপসর্গ দেখেই চলছে চিকিত্সা। এই রোগের চিকিৎসার একমাত্র উপায় লাইফ সাপোর্টিভ কেয়ার। অর্থাৎ পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (Picu)-এ রোগীতে ভর্তি করতে হবে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'উনি চক্রান্তের বড় শিকার' নেতাজির জন্মদিনে এ কী বললেন মমতা? Mamata on Netaji
রাগের মাথায় এ কী করে বসলো স্বামী! দেখলে আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Nadia-এ | North 4 Parganas News Today
সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির নবজাতক আখ্যা কুণালের, পাল্টা দিয়ে যা বললেন সুকান্ত : Sukanta on Kunal
নেতাজির 'মৃত্যুদিন' ঘোষণা রাহুলের, ক্ষোভ উগরে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার | Sukanta on Rahul
ED Raid Today: Kolkata-র একাধিক স্থানে ফের ED-র অভিযান! Salt Lake-এ হাজির বিশাল ইডির দল | Kolkata