বাঘ ঢুকেছে, মেছো বিড়াল দেখেই শোরগোল দুর্গাপুরে

  • দুর্গাপুরে বাঘের আতঙ্ক
  • মেছো বিড়াল দেখে বাঘের গুজব
  • বন দফতরের আশ্বাসেও কাটছে না আতঙ্ক

debamoy ghosh | Published : Feb 5, 2020 10:01 AM IST

এবার দুর্গাপুরে ছড়াল বাঘের আতঙ্ক। আর তা ঘিরেই সকাল থেকে রীতিমতো শোরগোল শহরের বেনাচিতি এলাকায়। বন দফতরের অবশ্য দাবি, বাঘ বলে যে প্রাণীটিকে ভুল করা হচ্ছে সেটি আসলে মেছো বিড়াল। অন্ধকারে বাঘের মতো হাঁটাচলার ধরন দেখে তাকেই বাঘ ভেবে ভুল করছে মানুষ। 

বেনাচিতি এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য বন দফতরের আশ্বাসে ভরসা করছেন না। তাঁদের পাল্টা দাবি এলাকার তিনটি ছাগল গত কয়েকদিনে নিখোঁজ হয়েছে। আবার এলাকার বেশ কিছু কুকুরও উধাও হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। 

দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট-এর সেন্ট্রাল স্টোর পাহাড়া দেওয়ার সময় মঙ্গলবার রাতে সিআইএসএফ-এর তিন নিরাপত্তারক্ষী বাঘের মতো দেখতে দু'টি জন্তুকে দেখতে পান বলে তাঁদের দাবি। সেন্ট্রাল স্টোর সংলগ্ন জঙ্গলেই ওই প্রাণীগুলি ঘোরাঘুরি করছিল। অন্ধকারের মধ্যেই প্রাণী দু'টির ভিডিও তোলার চেষ্টা করেন ওই নিরাপত্তাকর্মীরা। সকাল হতেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর এর থেকেই এলাকায় বাঘের দেখা মিলেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। 

আরও পড়ুুন- কলকাতার কাছেই বাঘের আতঙ্ক, কোন্নগরে ভয় ধরাল সিসিটিভি-র ছবি

বাঘের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেন্ট্রাল স্টোরের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন অনেকে। নিরাপত্তারক্ষীদের তোলা ভি়ডিও ভাইরাল হয়ে যায়। খবর যায় পুলিশ ও বন দফতরে। এ দিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঘের দেখা পেতে ভিড়ও বেড়ে যায়। এক সময়ে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খান সিআইএসএফ জওয়ানরা। 

শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা এসে ওওই জঙ্গলে এক দফা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তাতেও অচেনা কোনও প্রাণীর খোঁজ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইল ফোনে তোলা ছবি দেখে জন্তুটিকে চিহ্নিত করেন বন দফতরের কর্মীরা। 

বন দফতরের আধিকারিক মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, 'রেকর্ড করা ভিডিও থেকে জন্তুটিকে চেনা গিয়েছে। ওই জন্তুটিকে ফিশিং ক্যাট বা মেছো বিড়াল বলা হয়। 

আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট- এর ডিসিপি  অভিষেক গুপ্তা বলেন, বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই এলাকায় ফিশিং ক্যাট দেখা গিয়েছে। ওই প্রাণীটি মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে হুগলির কোন্নগরেও একইভাবে মেছো বিড়াল দেখে তাকে বাঘ বলেই ভুল করেছিলেন এলাকাবাসী। 
 

Share this article
click me!