গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কেবলমাত্র কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে লোক দেখানোর জন্য নির্মল চর পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তবে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান। শুধু ওইটুকুই করেন।
চরম বিপদের মুখে ভারত বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের পদ্মা লাগোয়া আখেরিগঞ্জ নির্মল চর। বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধে ফাটল ধরায় হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়। জল ঢুকেছে একাধিক কাঁচাবাড়ির মধ্যে। এছাড়া জলের তলায় ডুবে গিয়েছে হাজার হাজার চাষের জমি। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও দেখা মিলছে না কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির। তা নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে গ্রামবাসীদের মনে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কেবলমাত্র কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে লোক দেখানোর জন্য নির্মল চর পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তবে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান। শুধু ওইটুকুই করেন। এতবার বলা সত্ত্বেও কাজ কিছুই হয়নি। এদিকে বিধায়কের সাফাই, "জলমগ্ন মানুষের ক্ষোভ থাকা খুব স্বাভাবিক। আমি এলাকার মানুষের সব কথা নোট করেছি, সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।"
আরও পড়ুন- খুন-ধর্ষণের স্বর্গরাজ্য বীরভূম, বিস্ফোরক রিপোর্ট CBI-র
আরও পড়ুন, Durga Puja: রাখিবন্ধনের দিনেই খুঁটিপুজো, ৮৩ তম দুর্গোৎসবের শুভারম্ভ বাদামতলা আষাঢ় সংঘের
পদ্মা নদীর রানিতলার চর লবনগোলা এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে দুই ভাগ হয়ে মূল অংশটি প্রবাহিত হয়েছে বাংলাদেশের দিকে। এবং অপেক্ষাকৃত কম প্রসস্থ পদ্মা প্রবেশ করেছে আখেরিগঞ্জ এলাকায়। এই দুই নদীর মাঝে অবস্থিত ঘোষপাড়া, মহিষমারী, পাইকমারী, নির্মল চরের মত একাধিক গ্রাম রয়েছে। আখেরিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে ওই এলাকায় রয়েছে পাঁচজন সদস্য।
আরও পড়ুন, সোমবারই সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেসে শিখা মিত্র, সোমেন পত্নীকে ফোন মমতার
এহেন নির্মল চর এলাকার মানুষ সারা বছর প্রায় বিচ্ছিন্ন। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে শোলার লাইটের হাল, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং বাজার হাট সবকিছুই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত পড়ে রয়েছে সেখানে। সারা বছরের লড়াইয়ের পরে বর্ষায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। একদিকে ভাঙন আর অন্যদিকে প্লাবনের আতঙ্ক তাড়া করে বাসিন্দাদের। এবছর এলাকায় ভাঙন না থাকলেও প্লাবিত করেছে পদ্মার জল। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল শেখ, দবিরুল ইসলাম, রিঙ্কু শেখরা বলেন, "শুধু গালভরা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মিলছে না। দুয়েক মুঠো শুকনো খাবার মাত্র সম্বল। নির্জন দ্বীপের জীবনযাপন করছি আমরা।"