রামকৃষ্ণের বানী উল্লেখ করে বিজেপিকে নিশানা, দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে চড়া বার্তা মমতার


দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামকৃষ্ণের বাণী উল্লেখ করে নিশানা করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন , 'রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন টাকা মাটি মাটি টাকা। এর অর্থ প্রয়োজনের অতিরিক্তি কিছু চাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এখন সকলে বলে সব বেশি বেশি করে চাই।

Saborni Mitra | Published : Jun 16, 2022 2:52 PM IST

দুদিনের সফরে দিল্লি থেকেই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার আধ্যাত্মচর্চার অন্যতম পীঠস্থান দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনীর মন্দির। এই মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের নাম। রাসমণি ও সারদা দেবীর নামও এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত। মন্দিরের ১৬৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্য এদিন একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

যারমধ্যে অন্যতম হলে লাইট অ্য়ান্ড সাউন্ড। মাত্র ২৫ মিনিটেই দক্ষিণেশ্বের মন্দিরের সব ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন বই না পড়েই এবার থেকে মন্দিরের ইতিহাস জানা যাবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দক্ষিণেশ্বরে আগেই স্কাইওয়াক তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে এই মন্দিরের জন্য হেলিপ্যাডও তৈরি করা হবে। তিনি বলেন গেস্ট হাউস তৈরির জন্য ১০ কোটি টাকা  দেবে কেএমডিএ। 

এদিন দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামকৃষ্ণের বাণী উল্লেখ করে নিশানা করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন , 'রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন টাকা মাটি মাটি টাকা। এর অর্থ প্রয়োজনের অতিরিক্তি কিছু চাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এখন সকলে বলে সব বেশি বেশি করে চাই। দরকারটা কী? প্রয়োজনের বেশি চাওয়া ঠিক নয়।' এই মন্তব্য করে তিনি নাম না করেই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে নিশানা করেন। 

এদিন মমতার সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র, সুজিত বসু, তাপস রায় ও ফিরহাদ হাকিম. মমতা ভবতারিণীর মন্দিরে পুজো দেন। তারপর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতেও নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন রাজ্যে অনেক কাজ হয়েছে। আগামী দিনে আরও কাজ হবে। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে আরও সাজান হবে।  \

আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের শাসক দল বিজেপি যাতে সুবিধে না পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিকেল তিনটে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বেঠক ডাকেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখেই দিল্লির অ-বিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। যদিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস প্রতিনিধিরা। তবে কেজরিওয়াল, কেসিআর-এর মত অ-কংগ্রেস ও ও - বিজেপি দলের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাননি। যাইহোক তিনি একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন। যাতে দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসের সঙ্গে তার সম্পর্কের শৈত্য অনেকটাই কেটেছে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। 

 

Share this article
click me!