২১শে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে পা, বড় লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছেন মমতা

বুধবার ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এক নয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন।

Parna Sengupta | Published : Jul 21, 2021 2:17 AM IST / Updated: Jul 21 2021, 08:15 AM IST

তিনি জাতীয় রাজনীতির মুখ সেভাবে হয়ে ওঠেননি এখনও। তবে আঞ্চলিক দলের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পাইয়েছেন বিজেপির মত জাতীয় রাজনীতির খেলোয়াড়কে। বুধবার ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এক নয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। বিভিন্ন রাজ্যে আজ শোনা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে দলকে ছড়িয়ে দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। 

২১শে জুলাইয়ের সমাবেশটি কেবল বাংলার শাসকদলের পক্ষ থেকে শক্তির প্রদর্শন নয়, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যা পরের বছরের উত্তর প্রদেশ এবং গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য সুর তৈরি করবে, অন্তত তেমন লক্ষ্য নিয়েই পথ চলা শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২১শে জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে নিজের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। বিভিন্ন ভাষায় তাঁর বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। 

ভার্চুয়াল সমাবেশে গোটা দেশে মমতার বার্তা পৌঁছবে তৃণমূল। একাধিক রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে শোনানো হবে মমতার ভাষণ। সারা দেশের মাঝে তৃণমূলের তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে মোদী রাজ্য গুজরাটের। সূত্রের খবর, গুজরাটের ৩২ টি জেলার ৫০ টি জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতার ভাষণ শোনানো হবে। জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে দিল্লিতেও। 

পাশাপাশি যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে শোনানো হবে মমতার ভাষণ। আয়োজনের সম্ভার থাকছে তামিলনাড়ু, পঞ্জাব এবং ঝাড়খন্ডেও। উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য অসম-ত্রিপুরাতেও থাকছে চব্বিশের লক্ষ্যভেদে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা।  তাই মমতার ২১ জুলাইয়ের ভাষণ শুনতে চলেছে সবমিলিয়ে ৬ থেকে ৭ টি রাজ্য। গুজরাটে মমতার ভাষণ সম্প্রচার উপলক্ষে ইতিমধ্য়েই গুজরাটিতেও প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। এখানেই শেষ নয়, শনিবার একটি গুজরাটি পোস্টার প্রকাশ করেছে মমতার সরকার।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেস নেত্রী ছিলেন, তখন ভোটার কার্ডকে একমাত্র পরিচয়পত্র করার দাবিতে একটি মিছিল শুরু করেছিলেন। সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। মারা যান ১৩ জন। ২১শে জুলাইয়ের এই দিনকে স্মরণ করেই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। 

Share this article
click me!