লকডাউনের মাঝে ভিনজেলা, এমনকী রাজ্য থেকেও ফিরছেন অনেকেই। করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বীরভূমে। এবার নলহাটিতে করোনায় আক্রান্ত হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। বাবা-মা ও স্ত্রী-সহ পরিবার সাতজনকে কোরায়েন্টাইনে সেন্টার পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। সিল করা দেওয়া হয়েছে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ সীমান্ত।
আরও পড়ুন: করোনা রুখতে হাতিয়ার হোমিওপ্যাথি, বিনামূল্যে ওষুধ মিলছে মেদিনীপুরে
করোনা আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি নলহাটির আমাইপুরে গ্রামে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, কর্মস্থল থেকে সাইকেল চালিয়ে ২৮ এপ্রিল বাড়িতে ফেরেন ওই ব্যক্তি। অসুস্থ বোধ করায়, শুক্রবার চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নলহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। করোনা সংক্রমিত হননি তো? ভিন জেলায় কর্মরত ওই ব্যক্তিকে কোরায়েন্টাইনে সেন্টারে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। লালারস পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের গর্জনেও গভীর নিস্তব্ধতা, পর্যটক শূন্য় দিঘায় আজ বেকারত্বের হাহাকার
আরও পড়ুন: লকডাউনে সহায় কাউন্সিলর, এবার 'বিনেপয়সা বাজার' বসল রায়গঞ্জেও
জানা গিয়েছে, আক্রান্তকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বাবা-মা, দুই ভাই, স্ত্রী, ছেলে ও ভাইপোকে বাড়ি নিয়ে তুলে এনে বিডিও অফিসে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। গত কয়েকদিন এলাকায় যাঁরা আক্রান্ত বা তাঁর পরিবারের লোকেদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে বীরভূমে ছয়জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত কার্যত সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। কারণ সেই জেলাতেও করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সরকারি কাগজপত্র ছাড়া কাউকে দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।