বুধবার থেকেই জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। শীতের সকালে আমজনতার মন জয়ে একজোড়া গরম উপহার নিয়ে হাজির হলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। একদিকে পেঁয়াজের চড়া দাম, অন্যদিকে শীতের জন্য প্রয়োজন কম্বল। এ দিন চুঁচুড়ার অমরপুর গ্রামে 'দিদিকে বলো'-র প্রচারে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে পেঁয়াজ এবং কম্বল তুলে দেন অসিতবাবু।
অমরপুর গ্রামে মূলত তফশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের বাস। অধিকাংশেরই আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। সেখানেই এ দিন সকাল সকাল প্রায় চল্লিশ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ এবং একশোটি কম্বল নিয়ে পৌঁছন বিধায়ক। সত্তরটি পরিবারের এই জিনিসগুলি তুলে দেন তিনি। প্রত্য়েকটি পরিবারকে একটি করে কম্বর ছাড়াও পাঁচশো গ্রাম করে পেঁয়াজ দেন বিধায়ক। জনপ্রতিনিধিরা কম্বল, শীত বস্ত্র মাঝেমধ্যে বিলি করলেও পেঁয়াজ বিতরণ করছেন, এমন ছবি সচরাচর দেখা যায় না। তাই বিধায়কের অভিনব এই উদ্যাগ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাও অবাক হয়ে যান।
অসিতবাবু বলেন, 'আমি ঠিকই করেছিলাম এই গ্রামের গরিব মানুষদের কম্বল দেব। আর পেঁয়াজের এত চড়া দাম বলে পাঁচশো গ্রাম করে পেঁয়াজ তুলে দেওযার সিদ্ধান্ত নিই।' এর পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের হাতে 'দিদিকে বলো'- তে অভিযোগ জানানোর জন্য ফোন নম্বর- সহ কার্ড তুলে দেন বিধায়ক। স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে বসে এলাকার বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন তিনি।
শীতের সকালে নতুন কম্বল আর মহার্ঘ্য পেঁয়াজ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও খুশি। অনেকে আবার এনআরসি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা বিধায়ককে জানান। টুম্পা মাহাত নামে এক গৃহবধূ বলেন, 'খুব ভাল করেছেন বিধায়ক। আমরা চাই বাজারের জিনিসপত্রের দাম কমুক। একশো গ্রাম তেল কিনছি বারো টাকায়। আলুর দামও পঁচিশ টাকা কেজি। পেঁয়াজ কেনা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আমরা অনেক দিন পর পেঁয়াজ খাবো।'