এ বছরের মতো পুজো শেষ। আবার এক বছরের প্রতীক্ষা। কিন্তু তাতে কি! লক্ষ্মীপুজো মিটতে না মিটতেই আগামী বছরের পুজোর চাঁদা সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই অভিনব কাণ্ড ঘটেছে উত্তর দক্ষিণপুরে রায়গঞ্জে।
ব্যাপারটা কি? দুর্গাপুজোর করার তো ঝক্কি তো কম নয়, খরচও বিস্তর। অন্যন্য় খরচ বাঁচিয়ে পুজোর সময়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। এদিকে আগামী বছর আবার ক্লাবের পুজোর সূর্বণ জয়ন্তী বর্ষ। একটু ধুমধাম না করলে কি আর চলে! তাই সবদিক বিবেচনা করে এক অভিনব কায়দায় এখন থেকেই চাঁদা আদায়ে নেমে পড়েছেন রায়গঞ্জের শহরের বিবেক সংঘ নামে এক ক্লাব। এলাকার বাসিন্দাদের একটি ভাঁড় দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবের তরফে সকলে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রতিদিনের সংসার খরচ থেকে যে টাকা বাঁচবে, তা যেন ওই ভাঁড়ে জমা করেন তাঁরা। আর এভাবেই পুজোর সময়ে ভাঁড়ে মোটা অংকের টাকা জমা হয়ে যাবে। সেই টাকা থেকে পুজোতে অনায়াসেই চাঁদা দিতে পারবেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিবেক সংঘের ক্লাবের এমন অভিনব উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ।
রায়গঞ্জ শহরের তুলসীপাড়া এলাকার বিবেক সংঘ ক্লাবের সদস্য তপতী দাস বলেন, 'অন্যন্য ক্লাব সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে অনেক ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করে। আগামী বছর আমাদের সুর্বণজয়ন্তী। বড় করে পুজো করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু ক্লাবের এতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। এলাকার সকলের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আমরা পুজো করি। তবে জোর করে কারও কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয় না। তাই পাড়ার সকলকে ভাঁড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এতে সামনের পুজো সময়ে চাঁদা দিতে গিয়ে কাউকে সমস্যায় পড়তে হবে না। পুজোও ধুমধাম করে করা যাবে।' বস্তুত, রায়গঞ্জের তুলসীপাড়া এলাকার ইতিমধ্যে শ'তিনেক ভাঁড় বিলিও করে ফেলেছেন বিবেক সংঘ ক্লাবের সদস্যরা বলে জানা গিয়েছে। ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, কালীপুজোর পর আর শ'তিনেক ভাঁড় বিলি করা হবে। স্থানীয় কুমোরটুলিতে মাটির ভাঁড় তৈরির বরাত দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।