ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক আলোচনা সভা ডেকে কবিগুরুর ভাবনাকে কলুষিত করা হয়েছে বলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি।
"কেন বিজেপি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থ"? ১৮ মে এই বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতীতে অনলাইন আলোচনা সভার বিজ্ঞপ্তি জারি করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগের যুগ্ম পরামর্শদাতা অধ্যপক সঞ্জয় কুমারের। এই আয়োজন ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে শান্তিনিকেতনে। নিন্দায় সরব সুপ্রিয় ঠাকুর থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা।
গত দুই থেকে তিন বছর ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক দেখা গিয়েছে। কখনও প্রাচীর কান্ড আবার কখন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে বিতর্ক। ১৮ মে বিকেল ৪টেয় বিশ্বভারতীর তরফে একটি অনলাইন আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। বিষয় হল "কেন বিজেপি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থ"? এর আগে কখনও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হয়নি। যা নিয়ে রীতিমতো নিন্দার ঝড় শান্তিনিকেতনে।
তবে এর আগেও বিজেপি সাংসদ, নেতাদের বিশ্বভারতীর বিভিন্ন আলোচনা সভা, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যা নিয়ে দফায় দফায় আন্দোলন করেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনীরা।
ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর এই আলোচনা সভার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, " রাজনীতিটা বিশ্বভারতীতে ছিল না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পছন্দও করতেন না। ধীরে ধীরে রাজনীতি গ্রাস করেছে বিশ্বভারতীকে। এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে রাজনীতি। এখন কর্তার ইচ্ছায় কর্ম যাকে বলে। এটা অন্যায়, এটা হওয়া উচিত নয়। খুব দুর্ভাগ্যজনক।"
পড়ুয়াদের মধ্যে সাওনী চক্রবর্তী বলেন, "এটা প্রথমবার নয়। ধারাবাহিক ভাবেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে বিশ্বভারতীতে। আমরা সকল ছাত্রছাত্রীরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।"
প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত বিশ্বভারতী কর্মসমিতির সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ, "উপাচার্য নিজের পদ বাঁচাতে এসব করছেন। নিজের ইচ্ছায় উনি এই ধরনের আলোচনা করেন। আর বিজেপির উপর দোষ চাপান।"