করোনার জেরে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে সেখানকার ভোটও। জেলা জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনার থাবা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ল জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসাপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আসা রোগীদের নিজেদের লালারসের নমুনা নিজেদেরই নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। যেই ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই জঙ্গীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ও সহকারি সুপার সহ মোট ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। যার প্রভাব পড়েছে দৈনিক কাজকর্মেও। দেখা দিচ্ছে লোকবলের অভাব। কিন্তু তা বলে করোনা পরীক্ষার জন্য আসা একাধিক রোগী নিজেরাই নিজেদগের লালারস সংগ্রহ করার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্য জুড়ে। এমনকি গোটা প্রক্রিয়া দেখভালের জন্যও হাসপাতালের কোনও কর্মীর দেখা মিলছে না সেখানে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। এমনকী রাজ্য সরকার কোভিড বিধি ঠিক করে দিলেও, তার ছিটেফোটা দেখা নেই হাসপাতালে। এই পরিস্থিতি দেখে অনেকেই ভয়ে বাড়ি ফিরেও যাচ্ছেন।
হাসপাতালের সহকারী সুপার সৌরভ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাফাই দিয়ে বলেন, ‘‘ আমাদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এ এমনিতেই রোগীর চাপ বেশি। তারপরে আবার এই হাসপাতালের অধিকাংশ কর্মী এবং নার্স কোভিড আক্রান্ত। ফলে চিকিৎসা পরিষেবায় ধাক্কা লেগেছে। আমি নিজেও কোভিড আক্রান্ত। তাই সাধারণ মানুষকে নিজেকেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই সমস্যার খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।এর বেশি এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ কিন্তু জেলার এতবড় হাসপাতালের এমন পরিস্থিতি, প্রসাসনেরই কোনও হেলদোল নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সব মহলে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।